বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সন্ত্রাসবাদ মাথাচাড়ার চেষ্টা করলে অবাক হওয়ার কিছু নেই: আইজিপি

  •    
  • ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ২৩:৩৫

বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘এই দেশ বার বার সন্ত্রাসবাদে আক্রান্ত হয়েছে। বার বারই শান্তিপ্রিয় মানুষ তাদের প্রতিহত করেছে। আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি, এই সন্ত্রাসবাদ বাইরে থেকে এসে আছড়ে পড়েছে। আমাদের দেশের মানুষ শান্তিপ্রিয়। তারা রক্তপাত পছন্দ করে না, নির্মম হত্যাযজ্ঞ পছন্দ করে না।’

‘দেশের কোথাও কোথাও সন্ত্রাসবাদ মাথাচাড়া দেয়ার চেষ্টা করলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। এজন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সব ইউনিটকে সতর্ক থাকতে হবে। আমরা আত্মতুষ্টিতে ভুগলে সেটা অন্যায় হবে।’

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ এসব কথা বলেছেন।

সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কুড়িলে আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় আয়োজিত অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের (এটিইউ) পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আইজিপি।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ) প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এটি ছিল আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, জাতীয় নিরাপত্তা, সংগতির যে অভিযাত্রা তার একটি বিশেষ মুহূর্তের বিশেষ প্রয়োজন।

‘এই দেশ বার বার সন্ত্রাসবাদে আক্রান্ত হয়েছে। বার বারই শান্তিপ্রিয় মানুষ তাদের প্রতিহত করেছে। আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি, এই সন্ত্রাসবাদ বাইরে থেকে এসে আছড়ে পড়েছে। আমাদের দেশের মানুষ শান্তিপ্রিয়। তারা রক্তপাত পছন্দ করে না, নির্মম হত্যাযজ্ঞ পছন্দ করে না।’

বাংলাদেশের জঙ্গিবাদের উত্থান সম্পর্কে জানাতে গিয়ে আইজিপি বলেন, ‘সে সময়কার শেষ দিকে দেখেছি, কমিউনিস্ট আন্দোলন। সেই সময়ে পশ্চিম বাংলায় নকশালবাদীদের মুভমেন্টের কারণে মার্কসবাদী কমিউনিস্টরা অস্ত্র হাতে তুলে নেয়। স্বাধীনতার পর এই মার্কসবাদী আন্দোলন বিলুপ্ত হয়।

‘তালেবান যখন যুদ্ধ করছিল, বাংলাদেশ থেকে অনেকে সেখানে যায়। তারা ফিরে এসে হুজি গঠন করে। কিছু নিরীহ মানুষকে হত্যা করার চেষ্টা করে। সেটাও প্রতিহত করা হয়। এরপর দেখি জেএমবি, বাংলাভাই, আব্দুর রহমানদের আবির্ভাব। তার পেছনে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা ছিল, যা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।’

বেনজীর আহমেদ বলেন, আমাদের দেশে এই সময়ে যে জঙ্গিবাদের উত্থানটা হয় তার পেছনে অনাকাঙ্ক্ষিত রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা ছিল। এটিও সাধারণ মানুষ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী থামাতে সক্ষম হয়। ২০১৬ সালে আল কায়েদা, আইএস-এ উদ্বুদ্ধ হয়ে এ দেশীয় কিছু সন্ত্রাসী আবার বাংলাদেশকে ক্ষত-বিক্ষত করার চেষ্টা করে। সেটিও সাধারণ মানুষ ও সরকারের নেতৃত্বে পরাস্ত করা হয়। এই যে জঙ্গিবাদের সঙ্গে লড়াই, এটি সহজ ছিল না। লড়াইয়ের পেছনে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স পলিসি চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে।’

আইজিপি আরও ব‌লেন, ‘আমরা জানি ইসলাম শান্তির ধর্ম। সাধারণ মানুষকে যখন খুন করা হয় তখন আমাদের বুঝতে হবে, কারা তাদের মোটিভেশন দিয়ে এই কাজগুলো করাচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ভয়াবহ অবস্থা হয়েছে। আইএস ও আল কায়েদার বিস্তারে সাধারণ মানুষ ভুক্তভোগী। এসব সন্ত্রাসী সংগঠন নির্দিষ্ট একটি ধর্মের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। যারা এসবের সদস্য হিসেবে নিরীহ মানুষকে হত্যা করছেন তারা আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের হয়ে কাজ করছেন। এ কারণে আমাদের শান্তিপ্রিয় ধর্মকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে হেয় করা হয়েছে। এ সন্ত্রাস দমনে সরকার এটিইউ প্রতিষ্ঠা করেছে। যার কারণে বর্তমানে দেশে ৭-৮টি ইউনিট লড়াই করছে।

তিনি আরও বলেন, ‘সপ্তাহে সপ্তাহে দেশে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হতো। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো বিমান বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। এখানকার দূতাবাসগুলোকে নন-ফ্যামিলি মিশন ঘোষণা করেছিল। আমরা সরকারের পলিসি ও মানুষের সহযোগিতায় বিপজ্জনক পরিবেশে থেকে জঙ্গিবাদকে আবারও পরাস্ত করতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে হুমকি শেষ হয়নি।’

এ বিভাগের আরো খবর