১২ বছর আগে ফরিদপুরে পাট ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন হত্যা মামলায় তিন আসামিকে বিচারিক আদালতের মৃত্যুদণ্ডাদেশ কমিয়ে যাবজ্জীবন দণ্ড দিয়েছে হাইকোর্ট।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদন ও আসামিদের আপিল শুনানি শেষে সোমবার এ রায় দেয় বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও আইনজীবী মিন্টু কুমার মণ্ডল।
পলাতক আসামি মিন্টু শেখের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী শফিকুল ইসলাম।
রায়ের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত জানান, ঘটনার সময় আসামিদের বয়স কম ছিল। এ বিবেচনায় দণ্ড কমিয়েছে আদালত। এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করার জন্য ইতোমধ্যে নোট দেয়া হয়েছে।
২০১৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ মুসরাত জেরীন এ মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন মো. জামির আলী ওরফে জাবের, মো. এনামুল কবির ওরফে এনামুল কাজী ও মিন্টু শেখ। এদের মধ্যে মিন্টু শেখ পলাতক।
পরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি আসামি আপিল করেন।
মামলা থেকে জানা যায়, পূর্বশত্রুতার জেরে ২০১০ সালের ২০ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজবাড়ীর বসন্তপুর ইউনিয়নের মসলিসপুর গ্রামের ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
গিয়াসউদ্দিন ফরিদপুর সদর উপজেলার খলিলপুর বাজারে পাট বিক্রি করে ফিরছিলেন। বারোখাদা ব্রিজের কাছে পৌঁছালে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও দু-তিনজন তাকে হত্যা করে। ওইদিনই নিহত ব্যক্তির স্ত্রী শিউলি বেগম মামলা করেন।