চালের দাম খোলাবাজারে দ্বিতীয় দফায় ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার পর মনিটরিং জোরদার করছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
সচিবালয়ে সোমবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান খাদ্য সচিব মো. ইসমাইল হোসেন।
খাদ্য সচিব বলেন, ‘চালের দাম মাঝখানে তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে অনেকখানিই বেড়ে গিয়েছিল। তারপর সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় সারা দেশে ওএমএস, খাদ্যবান্ধব ও টিসিবির কার্যক্রমে আমরা প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ পরিবারকে ভর্তুকি মূল্যে খাদ্য দিয়েছি, সে সময় চালের দাম কমে এসেছিল।
‘সাম্প্রতিক সময়ে পাশের দেশগুলোতে চালের রপ্তানিতে, বিশেষ করে আতপ চালে ভারতের ২০ শতাংশ কর আরোপ এবং মিয়ানমার ১৫ শতাংশ কর আরোপ করেছে। এ ছাড়া বিশ্বের জলবায়ু নিয়ে যেটা আগাম বার্তায় বলা হচ্ছে, সেটা নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে শঙ্কা আছে। সরকার সচেষ্ট আছে।’
তিনি বলেন, ‘তিন থেকে চারটি প্রতিষ্ঠান এখানে কাজ করে। খাদ্য অধিদপ্তরের কিছু নিয়মিত মনিটরিং টিম আছে তারা কাজ করছে। আজকেও অনেকগুলো টিম আমাদের বাজারে আছে, যাতে অবৈধভাবে মজুত করতে না পারে। গতকাল আমরা বিভাগীয় কমিশনারদের সঙ্গে সভা করেছি। তাদের সঙ্গে আমরা কিছু কর্মকৌশল নির্ধারণ করেছি।’
সচিব বলেন, ‘মনিটরিং মাঠপর্যায়ে জোরারোপ করা হবে, পাশাপাশি ভোক্তা অধিকার কিছু কাজ করছে। আমরা দেখছি, অবৈধভাবে কেউ মজুত করে আর্টিফিশিয়ালি বাজারটাকে বাড়িয়ে দিচ্ছে কি না। আমাদের কার্যক্রম সঠিক আছে, মনিটরিংও আছে। আমরা আশা করছি বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। পাশের দেশে এই খবরে দ্বিতীয় দফায় কিছু দাম বেড়েছে। এটা আমরা অ্যাড্রেস করছি। সামাজিক নিরাপত্তার যে কর্মকাণ্ড এটাকে আমরা সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে চাই। এতে নিম্ন আয়ের মানুষ যেন অ্যাভেলঅ্যাবল পায় আমরা সে ব্যবস্থা করছি।’