বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অর্থ আত্মসাৎ: ধারার জালালের ১২ বছরের কারাদণ্ড

  •    
  • ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৭:১১

ধারা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) জালাল উদ্দিন আহমেদ ১ হাজার ৪৪৯ বিনিয়োগকারীর মোট ৫৯ কোটি ৩৯ লাখ ১ হাজার ৪৫৪ টাকা জমা নেন। কিন্তু সোসাইটির ব্যাংক হিসাবে কোনো অর্থ জমা না দিয়ে প্রতারণামূলকভাবে তিনি তা পাচার করেন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ছেলে ও মেয়ের কাছে।

৫৯ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ধারা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) জালাল উদ্দিন আহমেদকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮-এর বিচারক মো. বদরুল আলম ভুইঞা এ রায় দেন।

এ মামলার রায়ে আরেক আসামি খুলনার পাইকগাছা উপজেলার সনাতনকাঠি গ্রামের বাসিন্দা শেখ সামসুর রহমানের ছয় বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাদের ৬ কোটি টাকা করে জরিমানা করে আদালত।

এ মামলার আসামিরা শুরু থেকেই পলাতক। আদালত তাদের অনুপস্থিতিতেই রায় ঘোষণা করে। রায় ঘোষণার পর তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।

২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর দুদকের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে পরিবারের সদস্যসহ মেজর জেনারেল (অব.) জালাল উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করেন।

মামলায় ধারা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সভাপতি জালাল উদ্দিন আহমেদ, তার স্ত্রী ও সোসাইটির সহসভাপতি আলেয়া ফাতেমা, ছেলে ও সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক তালহা আহমেদ এবং মেয়ে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাদিয়া আহমেদকে আসামি করা হয়। তবে তদন্তে জালাল উদ্দিন আহমেদের স্ত্রী ও সন্তানদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের অব্যাহতি দিয়ে বিচার শুরু করে আদালত। আর তদন্তের মাধ্যমে শেখ সামসুর রহমানকে চার্জশিটভুক্ত করা হয়।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, সেনাবাহিনী থেকে ২০০৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর অবসর গ্রহণ করেন জালাল উদ্দিন আহমেদ। পরবর্তী সময়ে তিনি ও তার স্ত্রী আলেয়া ফাতেমা ধারা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড নামে সমবায় ব্যবসা শুরু করেন। এ সময় তিনি গ্রাহকদের আশ্বাস দেন, মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের অনুকূলে এফডিআরের মাধ্যমে টাকা রাখলে কেউ কখনও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না।

তিনি ১ হাজার ৪৪৯ বিনিয়োগকারীর মোট ৫৯ কোটি ৩৯ লাখ ১ হাজার ৪৫৪ টাকা ওই প্রতিষ্ঠানের রসিদের মাধ্যমে জমা নেন। কিন্তু ওই সোসাইটির ব্যাংক হিসাবে কোনো অর্থ জমা না দিয়ে প্রতারণামূলকভাবে তিনি তা আত্মসাৎ করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি ওই অর্থ পাচার করেন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ছেলে ও মেয়ের কাছে।

এ বিভাগের আরো খবর