রাজধানীর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে তাসলিমা বেগম রেনুকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যার মামলা চলাকালে সুবিচার নিশ্চিতে নিয়মিত তদারকি ও পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি কৌঁসুলি (পিপি), তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
রোববার বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেয়।
একইসঙ্গে সুবিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মামলার রায় ও আদেশ হওয়ার পূর্বে তথা মামলা চলাকালীন সময়ে সাক্ষীদের যথারীতি ও যথাসময়ে উপস্থিতি নিশ্চিত করাসহ ন্যায় ও যথাযথ বিচার নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ ও তদারকির জন্য কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত।
ফৌজদারী কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ৪৩৯ (১) ধারার বিধান অনুযায়ী এ রুল জারি করা হয়েছে, যা মামলাটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে।
আগামী আট সপ্তাহের মধ্যে ঢাকার জেলা প্রশাসককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
২০১৯ সালের ২০ জুলাই সকালে রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় মেয়েকে ভর্তি করাবেন বলে স্থানীয় একটি স্কুলে যান ৪০ বছর বয়সী তাসলিমা বেগম রেনু। এ সময় তাকে ছেলেধরা সন্দেহে সংঘবদ্ধভাবে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
ওই রাতেই রেনুর বোনের ছেলে নাসির উদ্দিন বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ৫০০ জনকে আসামি করা হয়। পরে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে পিটুনিতে জড়িত কয়েকজনকে শনাক্তের পর গ্রেপ্তার করে পুলিশ।