বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গম নিয়ে টিআইবির প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান খাদ্য মন্ত্রণালয়ের

  •    
  • ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৬:০৭

খাদ্য সচিব বলেন, ‘তাদের (টিআইবি) মাধ্যমে এ ধরনের প্রতিবেদন জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করবে। এ ধরনের রিপোর্ট দিতে হলে আরও তথ্যবহুল হওয়া প্রয়োজন।’

সরকার রাশিয়া থেকে বেশি দামে গম কিনছে বলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তা প্রত্যাখ্যান করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় থেকে বলা হচ্ছে, সঠিক দামেই গম কিনেছে সরকার।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন সোমবার নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা রাশিয়া থেকে গম কিনছি, এটা সত্য। টিআইবি একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলেছে, গম বেশি দামে কেনা হচ্ছে। আমি সরকারের অবস্থান জানাচ্ছি। রাশিয়া থেকে গম আনা হচ্ছে, এটা মোটেও বেশি দামে না। এটা করা হচ্ছে প্রতিযোগিতামূলক দামে।

‘এটা আমাদের জন্য প্রয়োজন ছিল। এই ক্রয়ের ফলে খাদ্য নিরাপত্তায় আমরা গমের ক্ষেত্রে স্বস্তিতে আছি।’

গম কেনার বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘নিরাপদ খাদ্যের বাফার স্টক রাখতে হয়। জুনে আমাদের টার্গেট থাকে অন্তত ২ লাখ মেট্রিক টন গম আর চাল ৮ থেকে ১০ লাখ মেট্রিক টন থাকতে হয়। জুনের মধ্যে আনফরচুনেটলি আমাদের স্টক ১ লাখ ৫৫ হাজার মেট্রিক টনে চলে এসেছিল।

‘এটা মূলত আমরা ব্যবহার করি মার্জিনাল মানুষের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনিতে দেয়ার জন্য। এটা কমে যাওয়ার পর যখন আমরা গম আনার চেষ্টা করি, তখন পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে একটি বাধা আসে যে তাদের ওখানে গম রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। ভারত থেকে আনতে পারলে আমাদের খরচ কম হয়, সময় কম লাগে, আমরা স্বস্তিতে থাকি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা আট থেকে ১০টি দেশে চিঠি দেই। সব জায়গায় চেষ্টা করি যাতে এটা সংগ্রহ করা যায়। পরে অনেকে রেসপন্স করে, এর মধ্যে আর্জেন্টিনা, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়া দূরের দেশ হওয়ার কারণে পরিবহন ব্যয় বেশি হওয়ায় সব ক্ষেত্রেই প্রতি টন ৫০০ ডলারের বেশি দাম পড়ে যায়।

‘রাশিয়া শুরুতে অমনোযোগী ছিল, কিন্তু পরে আমাদের যোগাযোগের পর আগ্রহী হয়। প্রথমে আমরা একটি মিটিং করি জি-টু-জি করার জন্য ২৩ জুন। এটা থেকে কোনো রেজাল্ট হয়নি। পরে আমরা কূটনৈতিক যোগাযোগ শুরু করি। তখন তারা রাজি হয়। ফাইনালি আমরা ২৪ আগস্ট চুক্তি করি, ৪৩০ ডলার করে। একদম পরিষ্কার, যে দাম বেশি হয়নি।’

সচিব বলেন, ‘এফওবি প্রাইজ হলো যে দেশ রপ্তানি করছে সে দেশের বন্দরে দাম। এখানে কোনো রকম পরিবহন দেবে না, শুধু গম দেবে। এটার সাথে আমাদের পাঁচটা ব্যয় যুক্ত হয়। লোডিং, জাহাজ ভাড়া, আনলোডিং, ইনসুরেন্স, বার্থ অপারেটর হ্যান্ডলিং এবং লাইটেনিং। এটা হয়ে আমাদের কাছে পৌঁছে দেয়।

‘যেদিন আমরা কিনেছি, সেদিন এফওবি প্রাইজ ছিল ৩৩৩ ডলারের মতো। দাম এখন ৩৩৪.২৫। এই বাকি খরচগুলো যুক্ত করে বাংলাদেশ লাভবানই হয়েছে। আমার দিক থেকে বলতে পারি, এখানে কোনো দুর্নীতি বা অনিয়ম হয়নি।’

টিআইবির প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেন, ‘তাদের (টিআইবি) মাধ্যমে এ ধরনের প্রতিবেদন জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করবে। এ ধরনের রিপোর্ট দিতে হলে আরও তথ্যবহুল হওয়া প্রয়োজন।’

এ বিভাগের আরো খবর