বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশে বাধা সমীচীন নয়: তথ্যমন্ত্রী

  •    
  • ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৫:৫৫

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ করলে সেখানে কেউ বাধা দেয়া সমীচীন নয় এবং বাধার দেয়ার প্রশ্নও আসে না। প্রশাসন থেকে শুরু করে সবাই সহযোগিতা করছেন তাদের। তবে বিএনপি কি সব সময় সেটি করে?’

কোনো দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেয়া সমীচীন নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

সচিবালয়ে সোমবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

বিরোধীপক্ষের কর্মসূচিতে অতি উৎসাহী হয়ে কেউ বাধা দিলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ করলে সেখানে কেউ বাধা দেয়া সমীচীন নয় এবং বাধার দেয়ার প্রশ্নও আসে না। প্রশাসন থেকে শুরু করে সবাই সহযোগিতা করছেন তাদের।

‘তবে বিএনপি কি সব সময় সেটি করে? গতকাল চট্টগ্রামে নিজেরা নিজেরা চেয়ার ছোড়াছুড়ি করে সমাবেশে গন্ডগোল করেছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় তারা নিজেরা মারামারি করেছে।’

তিনি বলেন, ‘বনানীতে কী ঘটেছে সে বিষয়টি তদন্তাধীন। সেখানে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কারণে ঘটেছে না তৃতীয় পক্ষ কেউ হামলা পরিচালনা করেছে, না কি অন্য কেউ করেছে… মূল কথা হচ্ছে কোনো শান্তিপূর্ণ সমাবেশে কেউ বাধা দিক সেটি আমরা চাই না বা কখনও সমর্থন করি না। বিষয়গুলো তদন্তাধীন। তদন্তে বেরিয়ে আসবে আসলে কী ঘটেছে।’

তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন, বিএনপি পুলিশের ওপর হামলা পরিচালনা করেছে। বিএনপি নিজেরা ইনভাইট করে গন্ডগোল করে। সে ক্ষেত্রে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে হয়। তবে শান্তিপূর্ণ কোনো সমাবেশে কেউ বাধা দিক সেটা আমরা চাই না। বিএনপি যদি মানুষের ওপর, পুলিশের ওপর হামলা পরিচালনা করে, তাহলে তো পুলিশ চুপ করে বসে থাকতে পারে না।’

‘পাকিস্তানই ভালো ছিল’ বলে মন্তব্য করায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে মামলা হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘প্রথমত বিএনপির সব কিছুতেই হতাশা। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পাকিস্তান-ই ভালো ছিল। অতএব, তাদের বাংলাদেশ নিয়েই হতাশা। মির্জা ফখরুল কীভাবে বলেন, আমি তো মনে করি এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে মামলা হওয়া দরকার। তিনি কীভাবে বলেন পাকিস্তান আমল ভালো ছিল বা পাকিস্তান ভালো ছিল। বাংলাদেশ নিয়ে তো তাদের হতাশা।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। এ বিষয়ে ভারতের মান্যবর রাষ্ট্রদূত তিনিও বলেছেন এ সফর অত্যন্ত সফল হয়েছে। এটা বলাতে তারা আরও হতাশ হয়েছেন। বাস্তবতা হচ্ছে এই।’

দেশে গুম-খুন নিয়ে জাতিসংঘের আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কোনো বিশেষ সংগঠনের তথ্য পাঠানোর পর সেটার ওপর যদি কোনো প্রতিবেদন তৈরি হয়, সেটি ফল্টিই হয়। আমরা দেখেছি, অধিকার নামের একটি সংগঠন থেকে তথ্য-উপাত্ত নেয়া হয়েছে, আইন ও সালিশ কেন্দ্র থেকে নেয়া হয়েছে এবং বিশেষ দুইটি পত্রিকা থেকে নেয়া হয়েছে।

‘এটা তো প্রতিবেদন নয় বিভিন্ন জনের কনসার্ন, সেখানে বলা হয়েছে, গুম-খুন বেড়েছে। বাস্তবতা তো দেখতে পাচ্ছি বাংলাদেশে যারা গুম হয়েছিল বলে কয়েকদিন আগে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল, তার মধ্যে ১০ জন ফেরত এসেছে। ২০ জনের মতো দাগি আসামি হত্যা মামলাসহ, তারা অনেকেই পালিয়ে আছেন। কিছু গুম হয়েছে বিএনপি তখন ক্ষমতায় ছিল, তাদের নামও তালিকায় রয়েছে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘হেফাজতের যখন আন্দোলন হচ্ছিল তখন শত শত জন হেফাজত কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং আল জাজরাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে তথ্য সরবরাহ করেছিল অধিকার। অন্যদের ছবি দিয়ে তারা সেগুলো প্রকাশ করেছিল। এ জন্য তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে গ্রেপ্তারও হয়েছে। সেই সংগঠন যখন তথ্য-উপাত্ত দেয়, তখন সেটা ফল্টি। তো কোন সূত্র থেকে তথ্য নিচ্ছে, সেটা হচ্ছে বড় বিষয়।

‘বাংলাদেশে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হয়েছে তখন, যখন বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বিচার না হওয়ার জন্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তর করা হয়েছে। জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করে ক্ষমতাকে নিষ্কন্টক করার জন্য শত শত হাজার হাজার সেনা সদস্যকে বিনা বিচারে হত্যা করেছে। তারপর বেগম খালেদা জিয়ার সময় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা হয়েছে। তার জন্য একটা গাঁজাখুরি তদন্ত কমিটি হয়েছে। তবে সে মামলায় তারেক জিয়ার শাস্তি হয়েছে, যাবৎজীবন কারাদণ্ড। অনেকের ফাঁসি হয়েছে। ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে যেভাবে মানুষ হত্যা করা হয়েছে, সেটা তো মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। এগুলো প্রতিবেদনে আসা উচিৎ বলে আমি মনে করি।’

এ বিভাগের আরো খবর