বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মুহুরীর পানিতে বন্দি ৪০০ পরিবার

  •    
  • ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৩:১৬

মুহুরী নদীর বাঁধে সোমবার ভোররাতে ভাঙন দেখা দেয়। এতে প্রবল গতিতে পানি ঢুকে চারটি গ্রাম প্লাবিত হয়।

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে ফেনীর ফুলগাজীর মুহুরী নদীর বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৪ গ্রামের প্রায় ৪০০ পরিবার।

মুহুরীর বাঁধে সোমবার ভোররাতে ভাঙন দেখা দেয়। এতে প্রবল গতিতে পানি ঢুকে গ্রামগুলো প্লাবিত হয়।

বানের জল ঘরবাড়িতে ঢোকার পাশাপাশি এতে ভেসে গেছে মাছের ঘের। তলিয়ে গেছে একরের পর একর আমনের চারা।

চলতি বছর মুহুরীর বাঁধে ভাঙনে দ্বিতীয়বারের মতো পানি ঢুকল লোকালয়ে। কয়েক মাস আগে বাঁধের চারটি স্থানে ভাঙনে ২০ থেকে ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছিল।

সর্বশেষ প্লাবিত হওয়া গ্রামগুলো হলো উত্তর দৌলতপুর, দক্ষিণ দৌলতপুর, ঘনিয়ামোড়া ও জগতপুর।

এর আগে রোববার রাতে ফুলগাজী বাজারে পানি ওঠে, যাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় অনেক দোকানপাট।

কী বলছেন স্থানীয়রা

দক্ষিণ দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম রাজু বলেন, ‘নতুন করে বলার কিছু নেই। প্রতিবারই এ রকম বন্যা হয়; আমাদের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়, ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়।’

একই গ্রামের বাসিন্দা শহীদুল্লাহ জানান, তিনি এবার ১২০ শতক জায়গায় আমনের চারা লাগিয়েছেন। এখন পুরোটাই পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি সোমবারের মধ্যে না নামলে ফসল নষ্ট হয়ে যাবে।

তিনি আরও জানান, তার মাছের ঘের বানের জলে ভেসে গেছে। বানের পানি কাদাযুক্ত হওয়ায় খুব সহজে ধান নষ্ট হয়ে যাবে।

একই এলাকার ইউনুস নবী জানান, তিনি ঋণ করে প্রায় ৩০০ শতক জায়গায় আমনের চারা লাগিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেন এক ইঞ্চি জায়গাও যেন খালি না থাকে। আমরা একদিকে চাষ করি, অন্যদিকে ভারতের পানি সব ভাসিয়ে নিয়ে যায়।’

উত্তর দৌলতপুর গ্রামের শফিউল্লাহ বলেন, ‘আমার মাছের ঘের, ৮০ শতক আমনের ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।’

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ভাষ্য

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আক্তার হোসেন মজুমদার বলেন, ‘এখন পর্যন্ত বাঁধের দুটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। আমাদের লোকজন কাজ করছে।’

ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুন্নাহার জানান, পানিবন্দি পরিবারগুলোর জন্য শুকনা খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

এ বিভাগের আরো খবর