মিরপুরে জাতীয় চিড়িয়াখানার খোল-নলচে পাল্টে দেয়ার জন্য একটি মহাপরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এতে প্রাণীদের আর খাঁচায় আবদ্ধ না রেখে সাফারি পার্কের মতো খোলা জায়গায় বিচরণের ব্যবস্থা করা হবে। এক প্রাণীর সঙ্গে আরেক প্রাণীর দূরত্ব থাকবে।
চিড়িয়াখানা সংস্কারের জন্য যে প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে, তা এখনও শুরু হয়নি। আগামী অর্থবছরে সেটি শুরু হবে বলে এটির পরিচালক ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম তালুকদার নিউজবাংলাকে জানান।
তিনি বলেন, ‘প্রকল্পটির মাস্টারপ্ল্যান সম্পন্ন হয়েছে। এটি বাস্তবায়নে আমাদের একটি প্রকল্প দরকার। প্রকল্পটি সম্পন্ন হয়ে গেলে আমরা এটি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর ব্যবস্থা করব। সেখানে একজন প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ করা হবে।’
চিড়িয়াখানায় কিছু খাঁচা ফাঁকা পড়ে আছে। সেখানে লেখা ‘মেরামত, সংস্কার ও জীবাণুমুক্তকরণের জন্য প্রাণী স্থানান্তর করা হয়েছে।’ ছবি: নিউজবাংলা
পরিচালক বলেন, ‘চিড়িয়াখানাকে একেবারে ঢেলে সাজিয়ে আধুনিকভাবে তৈরি করা হবে। এই চিড়িয়াখানা এমন হবে যে এটি দেখতে বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে লোক আসবে আমাদের দেশে। এত বড় প্রকল্প তৈরি করার পরিকল্পনাটি গত জুন মাসে শেষ হয়েছে। আমরা আশা করছি, এটি আগামী অর্থবছরেই বাস্তবায়ন শুরু হবে।’
তিনি আরও বলেন, এই চিড়িয়াখানা আমাদের জাতীয় সম্পদ। এটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব আমাদের সবার। শিশু থেকে শুরু করে সবাই যেন আকৃষ্ট হয়, নিয়মিত দেখতে আসে, বিভিন্ন প্রাণী সম্পর্কে জানতে পারে, সেটিই আমাদের মূল লক্ষ্য।’
জাতীয় চিড়িয়াখানায় গিয়ে দেখা যায়, ছুটির দিনে দর্শনার্থীদের ভিড়। তবে প্রাণীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য দেখা যায়নি। বেশির ভাগ প্রাণী জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। দীর্ঘ সময় ধরে তাদের খাবার দিতেও দেখা যায়নি কাউকে।
সিংহের খাঁচায় দেখা যায় নিষ্প্রাণ হয়ে ঘুমাচ্ছে একটি সিংহ। শজারুর খাঁচায় একটিই শজারু ছিল। কোনো সঙ্গী না থাকায় তাকেও খাঁচার এক কোণে পড়ে থাকতে দেখা যায়। কিছু খাঁচা ফাঁকা পড়ে আছে। সেখানে লেখা ‘মেরামত, সংস্কার ও জীবাণুমুক্তকরণের জন্য প্রাণী স্থানান্তর করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য তথ্যকেন্দ্রে গিয়ে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দেখা মেলেনি।