গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে দগ্ধ কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনির চিকিৎসায় বিশেষ মেডিক্যাল বোর্ড গঠন হয়েছে। রোববার তার রক্ত পরীক্ষায় বেশ কিছু ত্রুটি পাওয়া গেছে, তিনি এখনও আশঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আবু হেনা রনির শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত। তার রক্ত পরীক্ষায় কিছু ত্রুটি পাওয়া গেছে। এসব ত্রুটির কারণ নির্ধারণ সম্ভব হয়নি। সোমবার আরও কিছু পরীক্ষা করা হবে।
‘কী ধরনের গ্যাস থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। জানলে চিকিৎসা কিছুটা সহজ হতো।’
শুক্রবার বিকেলে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) চতুর্থ বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে দগ্ধ হন কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনিসহ পাঁচজন। শুরুতে তাদের গাজীপুরের তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দগ্ধের মাত্রা বেশি হওয়ায় সেখান থেকে রাতে ঢাকায় পাঠানো হয় আবু হেনা রনি ছাড়াও জিল্লুর রহমান নামের ব্যক্তিকে।
রনির চিকিৎসায় গঠন করা ১৩ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড রোববার দুপুরে সভা করে।
সভা শেষে ডা. সামন্ত লাল সেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘রোগীরা ১৫ শতাংশ দগ্ধ হলে আমরা সিরিয়াস মনে করি। রনি ও জিল্লুর এর চেয়ে বেশি দগ্ধ। সঙ্গে ইনহেলিশন বার্ন আছে। রনির কয়েক প্রকারের রক্ত পরীক্ষা করেছি। তাতে কিছু ত্রুটি আছে। নতুন চিকিৎসা সংযোজন করা হয়েছে।
‘৪৮ ঘণ্টা পার হলেও রনির অবস্থা অপরিবর্তিত। কম বার্ন হলেও ইনহেলিশন থাকলে সে রোগীর ব্যাপারে কিছু বলা মুশকিল। যতক্ষণ পর্যন্ত রোগী হেঁটে বাড়ি না যাবে, ততক্ষণ তাকে সুস্থ বলতে পারব না।’
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘রোগীর স্বজনরা যদি মনে করেন অন্য কোথাও নিয়ে চিকিৎসা করাবেন, সেটা তাদের ব্যাপার। তবে আমাদের এখানে যথেষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আছেন। চিকিৎসার ঘটতি হবে না।’
মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রবিউল করিম খান বলেন, ‘যখন আমরা এই রোগী হাসপাতালে পেয়েছি, তখন অবস্থা খারাপ ছিল। দগ্ধ হওয়ার পর মাটিতে গড়াগড়ি খেয়েছেন, তাতে ইনফেকশনের ভয় থাকে। তবে বেলুনে কী ধরনের গ্যাস ব্যবহার করা হয়েছিল, সেটা জানতে পারলে আমাদের চিকিৎসায় সুবিধা হতো।’