বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জাতিসংঘে একাত্তরের গণহত্যার স্বীকৃতি দাবিতে কর্মসূচি

  •    
  • ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ২২:১২

১৯৭১-এর গণহত্যার স্বীকৃতি দাবিতে জেনেভা ও নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ ভবন ছাড়াও লন্ডন, টরন্টো, মন্ট্রিল, ফ্লোরিডা, সিডনিসহ পৃথিবীর বিভিন্ন শহরে সংহতি সমাবেশ হবে। এছাড়া দেশের প্রায় প্রতিটি জেলায় সমাবেশ ও মানববন্ধন করা হবে।

একাত্তরের গণহত্যার স্বীকৃতি দাবিতে জেনেভায় জাতিসংঘ ভবনে আলোচনা ছাড়াও দেশে ‌এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে জনমত তৈরিতে টানা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

রোববার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে ওই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ‌‘আমরা একাত্তর’, ‘প্রজন্ম ৭১’ ও ‘বাসুগ’ নামে তিনটি সংগঠন ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আমরা একাত্তরের প্রধান সমন্বয়ক হেলাল ফয়েজী।

উদ্যোক্তারা জানান, আসন্ন জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের ৫১তম অধিবেশনে একাত্তরের নৃশংসতম গণহত্যার ভিডিও ফুটেজ, ছবি, দলিলপত্র, তথ্য-উপাত্ত ও বক্তব্য তুলে ধরা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১৯৭১-এর জেনোসাইডের স্বীকৃতি দাবিতে জেনেভা ও নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ ভবন ছাড়াও লন্ডন, টরন্টো, মন্ট্রিল, ফ্লোরিডা, সিডনিসহ পৃথিবীর বিভিন্ন শহরে সংহতি সমাবেশ হবে। এছাড়া বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি জেলায় সমাবেশ ও মানববন্ধন করা হবে।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘২০২২ সালের জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের অধিবেশনে ৩ নম্বর এজেন্ডায় ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় সংঘটিত পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠীর নৃশংস জেনোসাইড নিয়ে আলোচ্যসূচি থাকলেও ওই অধিবেশনে তা উত্থাপিত হতে পারেনি।

নেদারল্যান্ডসে বসবাসরত বাংলাদেশের প্রবাসী সংগঠন Bangladesh Support Group (BASUG) উদ্যোগটি নিয়েছিল। সময়-স্বল্পতার কারণে ইস্যুটি শেষ পর্যন্ত আলোচিত হয়নি। আমরা একাত্তর, প্রজন্ম একাত্তর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রকল্প, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, উত্তর বাংলা জাদুঘরসহ দেশের বেশ কয়েকটি সংগঠন বিষয়টিতে নজর রাখে।

এই সম্মিলিত প্রচেষ্টার অর্জন হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের ৫১ বছর পর জাতিসংঘ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে। এর ধারাবাহিকতায় আগামী ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের ৫১তম অধিবেশনের ৩ নম্বর এজেন্ডায় ইস্যুটি অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। ইআরটিএ, আমরা একাত্তর ও প্রজন্ম একাত্তর-এর সম্মিলিত আবেদনে এই এজেন্ডা পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করানো সম্ভব হয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের ৫১তম এই অধিবেশনে আমরা তুলে ধরব ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যা, ভিডিও ফুটেজ, ছবি, দলিলপত্র, তথ্য-উপাত্ত, বক্তব্য ও আলোচনা।

একাত্তরের জেনোসাইডের স্বীকৃতি আদায়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘে জেনোসাইডের ঘটনায় বাংলাদেশের জন্য যে সময় বরাদ্দ আছে সে সময়ে একাত্তরের জেনোসাইডের ঘটনাকে বিশ্ববাসীকে অবহিত করা হবে। বাংলাদেশের জেনোসাইডের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির পথ প্রশস্ত হবে। ‘মিথ্যাচার ও অসত্য তথ্য দিয়ে যেন এ ঘটনাকে হালাল করতে না পারে সে দিকে নজর দিতে হবে। আমরা এ বার্তা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিশ্বের সব দূতাবাসে পৌঁছে দিচ্ছি।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরীর ছেলে আসিফ মুনীর, প্রজন্ম একাত্তরের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ রেজা নূর এবং আমরা একাত্তর-এর সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক জিএস মাহবুব জামান শওকত।

ঘোষিত কর্মসূচি

৩ অক্টোবর বিকেল ৩টায় জেনেভায় জাতিসংঘ ভবনে আলোচনা। ২ অক্টোবর বিকেল ৪টায় নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ ভবনে সমাবেশ ও মানববন্ধন। একই দিন বিকেল ৪টায় লন্ডনে বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে, সিডনিতে এবং কানাডার টরন্টো ও মন্ট্রিলে সমাবেশের পাশাপাশি মানববন্ধন।

দেশে ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বাংবিভিন্ন জেলায় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ ও মানববন্ধন করা হবে। আর ৩ অক্টোবর ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পরবর্তী ঘোষণা দেয়া হবে।

এছাড়াও বাংলাদেশের চিহ্নিত বধ্যভূমিগুলোতে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হবে।

এ বিভাগের আরো খবর