ময়মনসিংহের গৌরীপুরে ছুরিকাঘাতে জহিরুল ইসলাম মিঠু নামে এক যুবককে হত্যার মামলায় গ্রেপ্তার প্রধান আসামি অ্যালবার্ট ডেভিড রকিকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ময়মনসিংহ মুখ্য ৪ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক রাজিব আহমেদ তালুকদার রকিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালত পরিদর্শক মো. জসিম উদ্দিন নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার অ্যালবার্ট ডেভিড রকির সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে তোলে গৌরীপুর থানা পুলিশ। এ সময় বিচারক সোমবার শুনানির দিন ধার্য করে রকিকে কারাগারে পাঠান।
এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় পৌর শহরের পাটবাজারে দুই পক্ষের ঝগড়া থামাতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে নিহত হন মিঠু। ২৪ বছরের মিঠু উপজেলার বোকাইনগর ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে। তিনি গৌরীপুর সরকারি কলেজে অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
এ ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে নিহত মিঠুর বাবা মোখলেছুর রহমান খান তিনজনের নাম উল্লেখ করে গৌরীপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। আসামিরা হলেন গৌরীপুর পৌরসভার বাড়ীওয়ালাপাড়া এলাকার অ্যালবার্ট ডেভিড বাদলের ছেলে অ্যালবার্ট ডেভিড রকি ও অ্যালবার্ট ডেভিড সেন্টু এবং কচিকাঁচা এলাকার আব্দুল হাফেজ খান নিলু মাস্টারের ছেলে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি একরামুল হোসেন মামুন।
এ ছাড়া মামলায় ছয়জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
মামলার বরাতে গৌরীপুর থানার ওসি খান আব্দুল হালিম সিদ্দিকী জানান, গত ১৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পৌর শহরের পাটবাজারে টিপু সুলতানের জুয়েলারি দোকানে স্বর্ণ বিক্রি করতে যান অ্যালবার্ট সেন্টু। স্বর্ণ মাপ দেয়ার পর দাম নিয়ে টিপুর সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় সেন্টুর।
একপর্যায়ে সেন্টু ক্ষিপ্ত হয়ে দোকান থেকে বের হয়ে তার বড় ভাই অ্যালবার্ট ডেবিড রকিকে নিয়ে আসেন।
দুই পক্ষের মধ্যে আবারও কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি শুরু হয়। এ সময় ঘটনাস্থলে থাকা মিঠু তাদের ঝগড়া থামাতে গেলে রকি তাকে ছুরিকাঘাত করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় মিঠুকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
মিঠুর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা পৌর শহরের মধ্যবাজারে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় কয়েকটি দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয়ার ঘটনাও ঘটে।
ওসি জানান, হত্যাকাণ্ডের চার দিন পর শনিবার রাতে জেলার মুক্তাগাছা পৌর এলাকা থেকে মামলার প্রধান আসামি অ্যালবার্ট ডেভিড রকিকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।