বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘সীমান্তে মিয়ানমার বোমা মারছে। অথচ সরকার নীরব। তারা রাষ্ট্রদূতকে ডেকে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। আসলে সরকারের কোমর সোজা নেই। তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। সে জন্য আজ বুক ফুলিয়ে মিয়ানমারের বোমাবর্ষণের প্রতিবাদ করতে পারছে না।’
রোববার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের (বিএনপি) কাজ হচ্ছে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ভয়াবহ দানবীয় শক্তি যারা জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছে তাদের সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা।’
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে রোববার বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: নিউজবাংলা
সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আপনাদের সতর্ক করে দিয়ে বলতে চাই, এখনও সময় আছে পদত্যাগ করুন। সংসদ বিলুপ্ত করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিন। সেই তত্ত্বাবধায়কের অধীনে স্বাধীন নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করে নিরপেক্ষ ভোটের মাধ্যমে জনগণ তাদের নতুন সরকার নির্বাচিত করবে।
‘আজ বিভিন্ন জায়গায় বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছেন, হামলা করছেন। এগুলো করে বাংলাদেশের মানুষকে দাবিয়ে রাখা যাবে না। দুর্বার গণ-আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আপনাদের পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।’
সব রাজনৈতিক দল এবং গণতন্ত্রকামীদের আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে যারা আমাদের সব অর্জন ধ্বংস করেছে, বাংলাদেশের আত্মমর্যাদা বিসর্জন দিয়েছে তাদের ক্ষমতা থেকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করি।’
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এবং উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব যথাক্রমে রফিকুল ইসলাম মজনু এবং আমিনুল হকের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, আবুল খায়ের ভূইয়া, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এস এম জিলানী প্রমুখ বক্তব্য দেন।