মেহেরপুরের গাংনীতে তহিদুল ইসলাম ও বাহাজেল হত্যা মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
হত্যার ১৭ বছর পর রোববার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারপতি কুমার বিশ্বাস এ দণ্ডাদেশ দেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামি বাদল আদালতে হাজির ছিলেন। আলামিন হোসেন ও হাশেম আলী নামের দুই আসামি পলাতক।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন সরকারপক্ষের আইনজীবী কাজী শহিদুল ইসলাম।
মামলার বিবরণে জানা যায়, মেহেরপুর সদরের শ্যামপুর গ্রামের তহিদুল ইসলাম গাংনী উপজেলার নওয়াপাড়ায় বাহাজেলের বাড়িতে যান। ২০০৫ সালের ৫ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে তারা একটি চৌকির ওপর বসে গল্প করছিলেন। এ সময় একদল অস্ত্রধারী বাড়ির ভেতর প্রবেশ করে। তাদের দেখে তহিদুল ঘরে ঢুকে লুকানোর চেষ্টা করেন। সন্ত্রাসীরা বাহাজেলকে কুপিয়ে ঘর থেকে তহিদুলকে অপহরণ করে। পরদিন গাংনীর ধলা গ্রামের সীমান্তে তহিদুলের মরদেহ পাওয়া যায়।
বাহাজেল কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা যান।
ঘটনার দুদিন পর গাংনী থানায় ১৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন বাহাজেলের ভাই আমিনুল ইসলাম।
২০০৫ সালের ৮ মে ১৩ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দেন গাংনী থানার এসআই মেজবা উদ্দীন আহম্মেদ ও আনোয়ার আলম আজাদ।
১৮ জনের সাক্ষ্য শেষে দুপুরে ওই মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারক। ১০ জনকে খালাস দেয়া হয়েছে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী এ কে এম শফিকুল আলম জানান, উচ্চ আদালতে তারা আপিল করবেন।