বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হুমায়ূন আহমেদের ছবি আত্মসাৎ: দুজনকে সমন

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৭:৫১

২০২১ সালের ২৯ জুন হুমায়ূন আহমেদের চিত্রকর্ম আত্মসাতের অভিযোগ এনে মামলা করেন তার স্ত্রী অভিনেত্রী ও নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওন। রুমা চৌধুরী ও তার স্বামী মঞ্জুরুল আজিম পলাশের বিরুদ্ধে তিনি এ মামলা করেন।

কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের চিত্রকর্ম আত্মসাতের মামলায় রুমা চৌধুরী ও তার স্বামী মঞ্জুরুল আজিম পলাশকে আগামী ২৫ অক্টোবর হাজির হতে সমন জারি করেছে আদালত।

রোববার পুলিশের দেয়া প্রতিবেদন আমলে নিয়ে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন।

২০২১ সালের ২৯ জুন হুমায়ূন আহমেদের চিত্রকর্ম আত্মসাতের অভিযোগ এনে মামলা করেন তার স্ত্রী অভিনেত্রী ও নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওন। রুমা চৌধুরী ও তার স্বামী মঞ্জুরুল আজিম পলাশের বিরুদ্ধে তিনি এ মামলা করেন।

আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, হুমায়ূন আহমেদ ২০১২ সালে ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য নিউ ইয়র্কের জ্যামাইকায় অবস্থানকালে অবসর সময়ে ছেলে নিষাদকে নিয়ে বেশ কিছু ছবি এঁকেছিলেন। সে সময় রুমা এবং তার সাবেক স্বামী বিশ্বজিৎ সাহার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হয় হুমায়ূন আহমেদের। এরই সূত্রে হুমায়ূন আহমেদ তার আঁকা ২৪টি ছবি প্রদর্শনীর জন্য ২০১২ সালের জুন মাসে তাদের দেন। শর্ত ছিল, প্রদর্শনী শেষে তারা সেই ছবিগুলো ফিরিয়ে দেবেন। হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর পর শাওন সন্তানসহ দেশে ফিরে আসেন। পরে শাওন আসামিদের কাছে ছবিগুলো ফেরত চাইলে তারা টালবাহানা শুরু করেন।

রুমা তার সাবেক স্বামী বিশ্বজিৎকে দিয়ে ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে হুমায়ূন আহমেদের মা আয়েশা ফয়েজের বাসায় ২৪টি ছবির মধ্যে ২০টি ফেরত দেন।

এর মধ্যে বিশ্বজিতের সঙ্গে রুমার বিচ্ছেদ হয়। তিনি বিয়ে করেন মঞ্জুরুল আজিম পলাশকে।

পলাশ গত বছরের ৩১ মার্চ ‘লিংকবাংলা শিল্প প্রদর্শনী’ নামক প্রদর্শনীর বিজ্ঞপ্তি পোস্ট করেন। এই পোস্টে হুমায়ূন আহমেদের আঁকা একটি ছবি প্রকাশ করা হয়।

সেই ছবিটি হারিয়ে যাওয়া দাবি করা হুমায়ূন আহমেদের চারটি ছবির মধ্যে একটি বলে প্রতীয়মান হয়।

শাওন বলেন, ‘হুমায়ূন আহমেদের আঁকা ছবিগুলোর মূল্য শৈল্পিক বা আর্থিক নিক্তিতে পরিমাপ করা সম্ভব না। হুমায়ূন আহমেদের জীবনের শেষ দিনগুলোতে ছেলে নিষাদের সঙ্গে কাটানো সময়ের স্মৃতি ছবিগুলো। আসামিদের কাছ থেকে ছবিগুলো উদ্ধার করা না গেলে তা বেহাত ও ধ্বংসপ্রাপ্ত বা ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর এতে শুধু প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদের পরিবারই নয়, সর্বোপরি দেশ ও জাতির অপূরণীয় ক্ষতি হবে।’

এ অবস্থায় আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আমলে গ্রহণ করে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন শাওন।

এ বিভাগের আরো খবর