বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ধর্ষণ মামলায় মামুনুলের বিরুদ্ধে দুই পুলিশ কর্মকর্তার সাক্ষ্য

  •    
  • ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৫:৩৫

আইনজীবী রকিব উদ্দিন জানান, পুলিশের কর্মকর্তারা ধর্ষণের ঘটনার সময় নির্যাতনের শিকার নারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন বলে জানিয়েছেন। ওই নারী পুলিশ কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে র‌্যয়েল রির্সোটে এনে ধর্ষণ করেছেন মামুনুল হক।

ধর্ষণের মামলায় হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন পুলিশের দুই কর্মকর্তা।

রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ মুন্সি মো. মশিয়ার রহমানের আদালতে মামলার ৬ষ্ঠ ধাপে এই সাক্ষ্য নেয়া হয়।

সাক্ষ্য দেয়া দুজন হলেন সোনাগাঁ থানার পুলিশ পরির্দশক খন্দকার তবিদুর রহমান ও উপসহকারী পরিদর্শক রাকিবুল ইসলাম উজ্ঝল।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রকিব উদ্দিন জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ছুটিতে থাকায় শুনাতি হয় জেলা ও দায়রা জজ আদালতে। মামলার শুনানিতে চারজন পুলিশ কর্মকর্তার হাজির হওয়ার কথা ছিলো। তাদের মধ্যে দুজন এসেছেন।

তিনি জানান, মামলার সাক্ষী পুলিশের দুই কর্মকর্তাই আদালতে জানিয়েছেন, তারা ঘটনার সময় সেখানে ছিলেন। সেখানে স্থানীয় বাসিন্দা, সাংবাদিক ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা ছিলেন।

আইনজীবী রকিব উদ্দিন জানান, পুলিশের কর্মকর্তারা ধর্ষণের ঘটনার সময় নির্যাতনের শিকার নারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন বলে জানিয়েছেন। ওই নারী পুলিশ কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে র‌্যয়েল রির্সোটে এনে ধর্ষণ করেছেন মামুনুল হক।

রকিব উদ্দিন আরও জানান, মামলাটিতে মোট ৪৩ জন সাক্ষীর মধ্যে এ নিয়ে ১৪ সাক্ষী তাদের দিলেন। আদালত মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে ৩ অক্টোবর।

মামুনুল হকের আইনজীবী ওমর ফারুক নয়ন বলেন, ‘সাক্ষীদের জেরা করার সময় আমরা অনেক এলোমেলো কথা পেয়েছি। মামুনুল হককে ফাসাঁনো হচ্ছে বলে আমরা আদালতকে জানিয়েছি।’

আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে ধর্ষণ মামলায় ৬ষ্ঠ দফায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য কঠোর নিরাপত্তায় কাশিমপুর কারাগার থেকে মামুনুলকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয়। সাক্ষ্য শেষে দুপুরে তাকে আবার কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

২০২১ সালের ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টের একটি কক্ষে নারীসহ স্থানীয়দের হাতে অবরুদ্ধ হন মামুনুল হক। সে সময় তিনি বিব্রতকর অবস্থায় পড়লে হেফাজতের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে যান।

পরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কার্যালয়সহ নেতা-কর্মীদের বাড়িঘর ভাঙচুর চালানো হয়। ওই ঘটনার ১৫ দিন পর ১৮ এপ্রিল মামুনুল হককে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে ঢাকা মহানগর তেজগাঁও বিভাগের পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

এরপর ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় হাজির হয়ে তার কথিত স্ত্রী বাদী হয়ে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন।

একই বছরের ১০ সেপ্টেম্বর ধর্ষণের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। ৩ নভেম্বর মামুনুল হকের নামে অভিযোগ গঠন করে আদালত।

এ বিভাগের আরো খবর