ফরিদপুরের নগরকান্দায় দুই কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতার হয়ে এসএসসি পরীক্ষা দেয়ার সময় বরখাস্ত হয়েছে দুই কিশোর।
অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
উপজেলার চর যশোহরদী ইউনিয়নের চাঁদহাট গ্রামে সৈয়দ সাজেদা চৌধুরী স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে শনিবার এ ঘটনা ঘটে।
ওই দুই পৌর কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা হলেন কাজল শেখ ও শরিফুল ইসলাম। দুজনই উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এসএসসি পরীক্ষার্থী।
দুজনের মধ্যে কাজল গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগের সভাপতি। শরিফুল একই পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ সহসভাপতি।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, বেলা ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ফ্রিল্যান্সিং ও ব্যাংকিং পরীক্ষা ছিল দুই কাউন্সিলরের। নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমাম রাজী বেলা তিনটার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
ওই সময় দুই কিশোরকে বহিষ্কারের পর মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। পরীক্ষার্থী হিসেবে দুই কাউন্সিলরকেও বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়া সচিবের কাছে ওই কেন্দ্রের তিন শিক্ষককে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়।
ইউএনও ইমাম রাজী জানান, কেন্দ্রটিতে নানা অনিয়মের খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি টের পেয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রের একটি কক্ষ থেকে শিক্ষকরা বই নিয়ে ছোটাছুটি করতে থাকেন। কয়েকজন পরীক্ষার্থী পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। ওই সময় ১৬ থেকে ১৭ বছর বয়সী দুই কিশোরকে পরীক্ষার হল থেকে বের হয়ে আসতে দেখা যায়।
তিনি আরও জানান, চ্যালেঞ্জ করলে দুই কিশোর জানায়, তারা পরীক্ষার্থী নয়; একটি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র। তারা মুকসুদপুর পৌরসভার দুই কাউন্সিলরের হয়ে পরীক্ষা দিচ্ছিল।
বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করে পৌর কাউন্সিলর কাজল শেখ জানান, দেখে লেখার জন্য তাদের বহিষ্কার করা হয়। তাদের ছেলে বা ভাগনে তাদের হয়ে প্রক্সি দিচ্ছিল না।
তিনি বলেন, ‘আমরা নিজেরাই পরীক্ষা দিচ্ছিলাম।’
আরেক কাউন্সিলর শরিফুল ইসলামের ভাষ্য, কেউ তার হয়ে পরীক্ষা দেননি। তিনি নিজেই পরীক্ষা দিচ্ছিলেন।