কিশোরগঞ্জে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. শরীফুল ইসলামকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় সেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক আজিজ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ অব্যাহতি দেয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কিশোরগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ-এর সভাপতি মো. শরীফুল ইসলামের কর্মকাণ্ডে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। তাই গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্তে এবং সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর নির্দেশে শরিফুলকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
এর আগে গত শুক্রবার বিকেলে জেলা শিল্পকলা অডিটোরিয়ামে আয়োজিত বর্ধিত সভায় দুই পক্ষের স্লোগান দেয়াকে কেন্দ্র করে সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদের ওপর হামলা করে সভাপতি শরীফুল ইসলামের অনুসারীরা। এতে ওই সভা পণ্ড হয়ে যায়। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়ে মঞ্চ ত্যাগ করেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
এক পর্যায়ে অডিটোরিয়াম থেকে বের হয়ে শামীম ও তার অনুসারীরা বাইরে এলে সেখানেও সভাপতির উপস্থিতিতে তার ওপর হামলা চালানো হয়। এ সময় সাধারণ সম্পাদকসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সভাপতির উপস্থিতিতেই জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদকের ওপর হামলা হয়
শরীফুল ইসলামের প্রতি অভিযোগ করে শামীম বলেন, ‘তিনি টাকার বিনিময়ে একক স্বাক্ষরে কিশোরগঞ্জ সদর, কটিয়াদী ও তাড়াইল উপজেলার কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন। যা গঠনতন্ত্র বহির্ভূত। সাংগঠনিক প্রস্তাব পেশ করার সময় এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে সভাপতি আমাকে নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু আমি সত্য প্রকাশ করে বক্তব্য শুরু করলে তারা আমার ওপর হামলা চালায়।’
তবে সাধারণ সম্পাদকের অভিযোগ অস্বীকার করে শরীফুল বলেন, ‘আমি স্বাগত বক্তব্য দিয়ে আসরের নামাজ পড়ার জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে মসজিদে চলে যাই। নামাজ শেষে ফেরার সময় দেখি সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য নিয়ে পাল্টাপাল্টি শুরু হয়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘শামীম আমার ছোট ভাই। তার ওপর হামলা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক।’