বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পরীক্ষার্থীদের পিটিয়ে ৩ স্কেল ভাঙার অভিযোগ

  •    
  • ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৯:৫৩

ইউএনও তাপস শীল বলেন, ‘মাদ্রাসার কেন্দ্র সচিব বিষয়টি আমাকে অবহিত করেছেন। সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা গ্রহণের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে সরিয়ে অন্য একজনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।’

কুমিল্লার চান্দিনায় পরীক্ষা চলার সময় হলের ভেতর দাখিল পরীক্ষার্থীদের পিটিয়ে তিনটি স্কেল ভাঙার অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দীনের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার মো. সালাউদ্দীনকে ওই কেন্দ্র থেকে প্রত্যাহার করা হয়।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ঢাকার অধীনে অনুষ্ঠিত দাখিল পরীক্ষার প্রথম দিনে চান্দিনা আল-আমিন ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রের ৯ ও ১০ নম্বর কক্ষে ওই ঘটনা ঘটে।

সরেজমিন ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে ১১ জন পরীক্ষার্থীকে প্রহারের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এদের মধ্যে চান্দিনা আল-আমিন ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার আটজন এবং উপজেলার আবেদা নূর ফাজিল মাদ্রাসার তিনজন শিক্ষার্থী রয়েছেন। পেটানোর ঘটনায় কেন্দ্র সচিব বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে বলেও জানান তারা।

ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থীরা জানান, কোরআন মাজীদ বিষয়ে এমসিকিউ অংশের পরীক্ষা চলাকালে ওএমআর শিটে সেট কোডের বৃত্ত ভরাট না করায় ক্ষিপ্ত হয়ে পরীক্ষার্থীদের পেটাতে শুরু করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দীন।

অভিভাবকদের অভিযোগ, ওই ঘটনার পর তাদের সন্তানরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। অনেকেই ঠিকমতো পরীক্ষা দিতে পারেনি।

এ বিষয়ে ওই কেন্দ্রের ৯ নম্বর কক্ষের প্রত্যবেক্ষক শিক্ষক মোসা. রুজিনা আক্তার বলেন, ‘এমসিকিউ পরীক্ষার সময় ২০ মিনিট। ১৫ মিনিট অতিবাহিত হলেও কোনো পরীক্ষার্থী সেট কোড ভরাট করেনি। এ বিষয়টি নিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরীক্ষার্থীদের নির্দেশ দিলে তারা হট্টগোল করে। একপর্যায়ে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে প্রহার করেন।’

এদিকে অভিযুক্ত সহকারী প্রোগ্রামার মো. সালাউদ্দীন বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘কোনো পরীক্ষার্থীকে পেটানোর ঘটনা ঘটেনি। সেট কোড ভরাট না করায় আমি শুধু ধমক দিয়েছি।’

প্রত্যাহার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সেটিও আমার জানা নেই। ইউএনও মহোদয় আমাকে তার সঙ্গে থাকার জন্য বলেছেন। আজ শনিবার ইউএনও স্যারের সঙ্গেই ছিলাম।’

এ বিষয়ে ইউএনও তাপস শীল বলেন, ‘মাদ্রাসার কেন্দ্র সচিব বিষয়টি আমাকে অবহিত করেছেন। সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা গ্রহণের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে সরিয়ে অন্য একজনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর