খুলনা মহানগরীতে প্রকাশ্যে ইয়াছিন আরাফাত নামে এক কিশোরকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যায় জড়িত বলে স্বীকার করেছেন। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, ১০০ টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে ইয়াছিনকে হত্যা করা হয়েছে।
শুক্রবার রাত থেকে খুলনা ও বাগেরহাটের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে নগরীর কাশেম সড়কের নুর মোহাম্মাদের দোকানের সামনে ওই কিশোরকে কুপিয়ে হত্যা করে একদল কিশোর।
১৭ বছর বয়সী ইয়াছিন মাছ বিক্রেতা ছিলেন।
তিনি বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার সোনাখাল গ্রামের ওবাইদুলের ছেলে। নগরীর পশ্চিম বানিয়া খামার এলাকার জিন্নাত ফকিরের বাড়িতে মামার সঙ্গে ভাড়া থাকতেন।গ্রেপ্তার হওয়া কিশোররা হলেন লবণচরা গ্রিনভিউ আবাসিক এলাকার মো. ইব্রাহিম নীরব, শেখপাড়া এলাকার আব্দুল্লাহ ও কাশেম সড়কের সজীব জার্বি। তাদের প্রত্যেকের বয়স ১৬ থেকে ১৭ বছর।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কর্মকর্তা হাসান আল মামুন।
তিনি বলেন, ‘ওই কিশোরকে হত্যার ঘটনায় রাতেই তার বাবা ইমদাদুল ইসলাম বাদী হয়ে ১০ জনের নামে মামলা করেন। এর পরই পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।’
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হান্নান জানান, ইয়াছিনের সঙ্গে গ্রেপ্তারকৃতদের দ্বন্দ্ব ছিল। সেই দ্বন্দ্বের জেরে শুক্রবার সকালে তাকে হত্যা করে। হত্যার পর তারা পালিয়ে যায়।
তিনি বলেন, ‘রাতে নিরালা থেকে আব্দুল্লাহ ও সজীব জার্বিকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যায় জড়িত বলে স্বীকার করেছেন। শনিবার সকালে হত্যা মামলার প্রধান আসামি ইব্রাহিমকে মোংলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
এসআই আব্দুল হান্নান বলেন, ‘গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা কিশোর হওয়ায় রিমান্ডের আবেদন করা যায়নি। তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মামলার অপর আসামি সাকিবকে গ্রেপ্তার করতে পারলে হত্যার মূল রহস্য বের হয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘তারা বন্ধু ছিলেন। ১০০ টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ ছিল। সেই ঘটনার জেরে ইয়াছিনকে খুন করা হয়েছে।’