বরগুনা সদর উপজেলায় বসতঘর সংস্কার করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামে শনিবার দুপুর ১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ দুর্ঘটনায় ঢলুয়া ইউনিয়নের হারুন অর রশীদের ছেলে মো. হেলাল, জলিল খানের ছেলে রবিউল খান ও শাহজাহান পহলানের ছেলে বেলায়েত পহলানের মৃত্যু হয়েছে।
এ সময় আরিফুর রহমান আরিফ নামে আরও একজন আহত হয়েছেন। মৃতদের মধ্যে হেলাল ও বেলায়েত মামাতো-ফুপাতো ভাই।
হেলালের চাচা মতিউর রহমান বলেন, ‘হেলাল প্রায় ১৩ বছর মালয়েশিয়ায় থাকার পর মাসখানেক আগে দেশে ফেরে। সম্প্রতি টিনের ঘর ভেঙে পাকা ঘর তৈরির কাজ শুরু করে। শনিবার দুপুর ১টার দিকে টিনের চালা খুলতে গেলে ওই চালা পাশের পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ তারের ওপর পড়ে টিন বিদ্যুতায়িত হয়। এ সময় হেলাল, রবিউল, বেলায়েত ও আরিফ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে গুরুতর অবস্থায় তাদের বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।’
কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. ফরহাদ হোসেন পরীক্ষার পর হেলাল, রবিউল ও বেলায়েতকে মৃত বলে জানান। এ ছাড়া আরিফকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বরগুনা পল্লী বিদ্যুৎ আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক মো. আরব আলী বলেন, ‘কেউ ঘর সংস্কার করতে চাইলে আমাদের কাছে আবেদন করে অনুমতি নিতে হয়। আমরা সংযোগ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বিচ্ছিন্ন ও নিরাপদ করার পর অনুমতি দিই। কিন্তু এই ঘটনায় সংশ্লিষ্টরা আমাদের না জানিয়ে ঘরের সংস্কার শুরু করেন। পরে এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে।
বরগুনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘এটি নিছক দুর্ঘটনা নাকি দায়িত্বে অবহেলা, তা আমরা তদন্ত করে দেখব। নিহতদের পরিবারকে ২৫ হাজার করে টাকা আমরা আর্থিক সহযোগিতা দিচ্ছি।’