বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘শ্রেষ্ঠ’ এসআইয়ের বিরুদ্ধে উৎকোচ নেয়ার অভিযোগ

  •    
  • ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৯:০৫

অভিযুক্ত এসআই সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আমি মেয়েটিকে উদ্ধার করি। সর্বরামপুর গ্রামের একটি ছেলে এ ঘটনায় সম্পৃক্ত ছিল। পরে মেয়ের পরিবারের সদস্যরা মেয়েটিকে জিডিমূলে তাদের হেফাজতে নেয়। এ বিষয়ে থানায় কোনো মামলা হয়নি। এ ঘটনায় কারও কাছ থেকে উৎকোচ নেয়ার অভিযোগ সঠিক নয়।’

মামলার ভয় দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ব্যক্তি নওগাঁর রাণীনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাজ্জাদ হোসেন।

সম্প্রতি উপজেলার সর্বরামপুর গ্রামের দুই যুবককে অপহরণ মামলার ভয় দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা উৎকোচ আদায় করা হয়। তবে এসআই সাজ্জাদ উৎকোচ আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

স্থানীয় ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২১ নভেম্বর রাণীনগর থানায় এসআই পদে যোগ দেন সাজ্জাদ হোসেন। যোগদানের পর থেকেই তার বিরুদ্ধে একের পর এক অপকর্মে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ ওঠে। তবে গত আগস্টে অভিন্ন মানদণ্ডে রাজশাহী বিভাগে শ্রেষ্ঠ এসআই হিসেবে পুরস্কৃত হন তিনি।

সম্প্রতি রাণীনগর উপজেলার সর্বরামপুর গ্রামের লিটন উদ্দিন সরদারের ছেলে টুটুল হোসেন ও একই উপজেলার রাতোয়াল গ্রামের এক কিশোরীর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে এই দুজন বিয়ে করার উদ্দেশ্যে ঢাকায় পালিয়ে যান। বিষয়টি জানাজানি হলে মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে রাণীনগর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়।

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মেয়েটির অবস্থান জেনে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সাজ্জাদ হোসেন। একই সঙ্গে তাদের বিয়ের কাবিননামা সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।

মেয়েকে সুস্থ অবস্থায় ফিরে পেয়ে থানায় দায়ের করা অভিযোগটি প্রত্যাহার করে নেন ওর অভিভাবকরা। তার পরও ওই ঘটনায় মামলার ভয় দেখিয়ে কাবিননামার সাক্ষীর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ও টুটুলের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা উৎকোচ আদায় করা হয়।

টুটুল বলেন, ‘ভালোবেসে ওই কিশোরী আমার সঙ্গে স্বেচ্ছায় বাড়ি ছেড়েছিল। এরপর আমরা বিয়ে করি। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর মা আমার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। কিছুদিন পর থানা থেকে আমাকে কল করা হলে ৫ আগস্ট রাতে আমার স্ত্রীকে থানায় পৌঁছে দিয়েছিলাম।

‘থানা থেকে আমার স্ত্রীর পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ তুলে নেন। কিন্তু তার পরও এসআই সাজ্জাদ হোসেন আমার কাছে ৩০ হাজার টাকা উৎকোচ দাবি করেন। দাবীকৃত টাকা না দিলে অপহরণ মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার ভয় দেখান তিনি। পরে ভয়ে তাকে টাকা দেয়া হয়।’

অভিযুক্ত এসআই সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আমি মেয়েটিকে উদ্ধার করি। সর্বরামপুর গ্রামের একটি ছেলে এ ঘটনায় সম্পৃক্ত ছিল। পরে মেয়ের পরিবারের সদস্যরা মেয়েটিকে জিডিমূলে তাদের হেফাজতে নেয়। এ বিষয়ে থানায় কোনো মামলা হয়নি। এ ঘটনায় কারও কাছ থেকে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ সঠিক নয়।’

রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘একটি মেয়ে ও ছেলেকে ঢাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে নাবালক মেয়েটিকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ বিষয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে টাকা নেয়ার অভিযোগটি সঠিক নয়। এর পরও অভিযোগ যেহেতু উঠেছে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর