শেরপুরের শ্রীবরদীতে দাম্পত্য কলহের জেরে বোরকা পরে শ্বশুরবাড়িতে ঢুকে তিনজনকে হত্যার ঘটনায় এবার আহত শ্বশুর মনু মিয়াও মারা গেছেন।
শনিবার ভোরে চিকিৎসাধীন মারা যান তিনি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
গত ২৩ জুন রাতে উপজেলার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের পুটল গ্রামে মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টু নামে এক ব্যক্তি ওই হামলাটি চালান বলে অভিযোগ রয়েছে। স্ত্রী রাগ করে বাবার বাড়ি চলে যাওয়ায় সেখানে গিয়ে এমন হত্যাকাণ্ড ঘটান মিন্টু।
জানা যায়, একই উপজেলার গেরামারা গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টু ঘটনার দিন রাত ৮টার দিকে বোরকা পরে শ্বশুরবাড়িতে প্রবেশ করেন এবং সামনে যাকে পান তাকেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকেন।
এতে ঘটনাস্থলেই মিন্টুর স্ত্রী মনিরা, শাশুড়ি শেফালী বেগম ও চাচা শ্বশুর হাজি নূর মাহমুদ গাজী মারা যান। এ সময় গুরুতর আহত হন শ্বশুর মনু মিয়া, চাচি শাশুড়ি সাহারা বেগম ও শ্যালক শাহাদত।
আহতদের ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে নিজ বাড়িতে চিকিৎসা চলছিল। এ অবস্থায় আসামির শ্বশুর মনু মিয়ার মৃত্যু হয়েছে।
গত ২৪ জুন ঘটনার পরদিন নিহত মনিরার ছোট বোন মিনারা বেগম মিন্টুকে আসামি করে মামলা করেন।
শ্রীবরদী থানার ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাস নিউজবাংলাকে জানান, ঘটনার পরদিনই অভিযান চালিয়ে শ্বশুরবাড়ি পুটল গ্রামের একটি আমগাছ থেকে ভোর ৫টার দিকে মিন্টুকে আটক করা হয়। সারা রাত ওই বাড়ির একটি আমগাছে লুকিয়ে ছিলেন তিনি। আটকের পর শ্যালিকার করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।