বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সরকার জাতিকে বিভক্ত করে ফেলেছে: ফখরুল

  •    
  • ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৭:২২

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকার ১২ থেকে ১৫ বছরে গোটা জাতিকে বিভক্ত করে ফেলেছে। এমন এটা জায়গা পাবেন না সেখানে আপনি দেখবেন যে বিভক্তি নেই। সবখানেই একদিকে আওয়ামী লীগ আর বাকি সব বিরোধী- এই ভাগটা সরকার করে ফেলেছে।’

সরকার রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে ‘দলীয়করণ’ করে ভাগ করে ফেলেছে বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এই অভিযোগ করেন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য প্রয়াত গাজী মাজহারুল আনোয়ার স্মরণে ‘ড. খন্দকার মোশাররফ ফাউন্ডেশন’-এর উদ্যোগে এই আলোচনা সভা হয়।

কিংবদন্তি গীতিকার-সুরকার ও চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব গাজী মাজহারুল আনোয়ার ৪ সেপ্টেম্বর মারা যান।

আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমি মাঝে-মধ্যে বলি যে এখন সময়টা নষ্ট সময়। সব কিছুকে এরা (সরকার) নষ্ট করে ফেলছে। মিথ্যাচার, ভ্রষ্টাচার, দুর্নীতি- এমন একটা জায়গা নেই যেখান থেকে তারা দেশটাকে বের করে আনার কোনো প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনি বিচারালয়ে যান বিচার পাবেন না, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীর কাছে যাবেন নিরাপত্তার জন্য সেখানে নিরাপত্তা পাবেন না। তারা আগে জিজ্ঞাসা করবে- তুমি বিএনপি করো না আওয়ামী লীগ করো। যদি বিএনপি করেন তাহলে কোনো ফল হবে না। উপরন্তু আপনার বিরুদ্ধে মামলা করে দেবে।

‘ঢাকা দক্ষিণে ছাত্রদলের তিন কর্মীকে রাতে বাসায় যাওয়ার সময় হামলা চালিয়ে তাদেরকে আহত করা হয়েছে। মামলা দিতে গেলে উল্টো ওদের বিরুদ্ধেই মামলা হয়েছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার গত ১২ থেকে ১৫ বছরে গোটা জাতিকে বিভক্ত করে ফেলেছে। এমন এটা জায়গা পাবেন না সেখানে আপনি দেখবেন যে বিভক্তি নেই। সবখানেই আওয়ামী লীগ আর বাকি সব বিরোধী- এই ভাগটা সরকার করে ফেলেছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘মসজিদের কমিটিতে ভাগ, স্কুল-মাদ্রাসার কমিটি সেখানেও ভাগ। একইভাবে গানের স্কুলে ভাগ, বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজেও ভাগ- সবখানে ভাগ। এই বিভক্তি জাতিকে কখনোই সামনের দিকে নিয়ে যাবে না।

‘জাতি সামনের দিকে এগিয়ে যায় ঐক্যের মধ্য দিয়ে, যেটা রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান করেছিলেন। ১৯৭৫ সালে এসে তিনি সেই বিভক্তি দূর করে গোটা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে সামনের দিকে নিয়ে গিয়েছিলেন। তখন থেকেই গাজী মাজহারুল আনোয়ার জিয়াউর রহমান সাহেবের ভক্ত ছিলেন। জিয়াউর রহমানও তার ভক্ত ছিলেন।’

গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে বাতিঘর হিসেবে অভিহিত করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তিনি আমাদের সামনে একটা নক্ষত্রের মতো ছিলেন। আমরা এ ধরনের মানুষ আর পাব না। আমরা অনুপ্রাণিত হই তার গানের মধ্য দিয়ে, আমরা অনুপ্রাণিত হই তার চরিত্রের মধ্য দিয়ে, আমরা অনুপ্রাণিত হই তার কাজের মধ্য দিয়ে।’

‘রাজনৈতিক কাঠামো ভেঙে ফেলেছে’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘রাজনৈতিক অঙ্গনটাই কেমন যেন একদম নষ্ট হয়ে গেছে, কলুষিত হয়ে পড়েছে। কোথায় ভালো জিনিস আছে বলুন? আজ এটাই সত্য যে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক কাঠামোটা ভেঙে পড়েছে।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের মাধ্যমে একটা পার্লামেন্ট গঠন হবে, সরকার গঠন হবে। অথচ সেই নির্বাচনে জনগণ অংশ নিতে পারে না। তাহলে এটা কিসের নির্বাচন? ওই জায়গাটা তারা ধ্বংস করে ফেলেছে। এর জন্য পুরোপুরি দায়ী আজকের শাসকগোষ্ঠী আওয়ামী লীগ। এখান থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। আর এটা কি এক বিএনপির দায়িত্ব। সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’

প্রয়াত গাজী মাজহারুল আানোয়ারের বর্ণাঢ্য জীবন-কর্ম তুলে ধরেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

ব্যারিস্টার খন্দকার মারুফ হোসেনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বল, গাজীপুর বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মোস্তফা কামাল মজুমদার, এম আবদুল্লাহ, প্রয়াত গাজী মাজহারুল আনোয়ারের সহধর্মিণী জোহরা গাজী ও ছেলে সরফরাজ আনোয়ার উপল বক্তব্য দেন।

এ বিভাগের আরো খবর