গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে দগ্ধ কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনিসহ পুলিশ সদস্য কনস্টেবল জিল্লুর রহমানের খোঁজখবর নিতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গিয়েছেন জিএমপি কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম।
সেখানে তিনি বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধদের স্বজনদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে চিকিৎসায় সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
জিএমপির সহকারী কমিশনার (ডিবি ও মিডিয়া) আবু সায়েম নয়ন নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘কমিশনার স্যার ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেনসহ অন্যান্য চিকিৎসকের সঙ্গে আহতদের চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজখবর নেন। দগ্ধদের সর্বোচ্চ চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকের অনুরোধ জানান।
‘এ সময় তিনি আবু হেনা রনি ও কনস্টেবল জিল্লুর রহমানের স্বজনদের কাছে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং চিকিৎসার বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।’
এর আগে সকালে ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন এস এম আইউব হোসেন নিউজবাংলাকে জানান, বিস্ফোরণে রনির শরীরের ২৪ শতাংশ পুড়ে গেছে। একই ঘটনায় জিল্লুর রহমান নামে একজনের দেহের ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
আইউব জানান, শুক্রবার রাত থেকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এ দুজনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। আজ সকাল ১০টার দিকে তাদের হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে।
রনি ও জিল্লুরের পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘দুজনকেই আশঙ্কামুক্ত বলা যাবে না।’
গাজীপুর জেলা পুলিশ লাইনসে শুক্রবার বিকেলে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে রনিসহ পাঁচজন দগ্ধ ও আহত হন।
রনিকে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা সাদিক আল হাসান জানান, জিএমপির বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে অভিনয় করতে গিয়েছিলেন এ কৌতুক অভিনেতা। সেখানে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরিত হয়। তখন পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা রনিসহ অন্যরা দগ্ধ ও আহত হন।
এদিকে বিস্ফোরণের ঘটনায় শনিবার জিএমপির উপকমিশনার (অপরাধ-উত্তর) আবু তোরাব মোহাম্মদ সামছুর রহমানকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন অতিরিক্ত উপকমিশনার (অপরাধ-উত্তর) রেজওয়ান আহমেদ, সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) ফাহিম আশজাদ, মেট্রোপলিটন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম।