বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সড়ক ও ফুটপাতে রাখা নির্মাণসামগ্রী নিলামে বিক্রি

  •    
  • ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৫:৩৮

ডেঙ্গুবিরোধী সচেতনতামূলক প্রচারাভিযানে গিয়ে দেখতে পান সেখানে প্রধান সড়কে ও ফুটপাতে বিপুল পরিমাণ রড, ইট, বালু ও অন্যান্য নির্মাণসামগ্রী অবৈধভাবে রাখা হয়েছে। এগুলো জব্দ করে সেখানেই উন্মুক্ত নিলামে ডাকা হয়। ১৮ লাখ ৪৫ হাজার টাকায় এগুলো বিক্রি করা হয়।

সড়ক ও ফুটপাতে অবৈধভাবে রাখা নির্মাণসামগ্রী জব্দ করে সেগুলো তাৎক্ষণিক উন্মুক্ত নিলামে বিক্রি করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।

শনিবার সকালে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম মিরপুরের পাইকপাড়া এলাকায় ডেঙ্গুবিরোধী সচেতনতামূলক প্রচারাভিযানে গিয়ে দেখতে পান সেখানে প্রধান সড়কে ও ফুটপাতে বিপুল পরিমাণ রড, ইট, বালু ও অন্যান্য নির্মাণসামগ্রী অবৈধভাবে রাখা হয়েছে। নির্মাণাধীন ভবনের কর্তৃপক্ষকে না পেয়ে ডিএনসিসি মেয়র সড়কে ও ফুটপাতে নির্মাণসামগ্রী রেখে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করায় তাৎক্ষণিক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।

ওই সময় ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পারসিয়া সুলতানা প্রিয়াঙ্কার নেতৃত্বে ফুটপাত ও সড়কে অবৈধভাবে রাখা সব নির্মাণসামগ্রী জব্দ করে উন্মুক্ত নিলামে ডাকা হয়। নির্মাণসামগ্রীর মধ্যে ছিল বিপুল পরিমাণ রড, ইট, বালু ও অন্যান্য সামগ্রী। এগুলো নিলামে ১৮ লাখ ৪৫ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।

ডিএনসিসি মেয়র সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্মাণাধীন ভবনে এডিসের লারভার সন্ধানে অভিযানে এসে দেখি বিপুল পরিমাণ রড, ইট, বালু ও অন্যান্য সামগ্রী রাস্তার ওপর ও ফুটপাতে রেখে দেয়া হয়েছে। বালুর কারণে ড্রেনগুলো ভরাট হয়ে গেছে। রাস্তায় পানি জমে রয়েছে। জনগণের চলাচল বাধাগ্রস্ত করে ফুটপাত ও রাস্তায় নির্মাণসামগ্রী রাখা যাবে না। সরকারি, আধা সরকারি ও বেসরকারি যে প্রতিষ্ঠানই হোক না কেন, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করলে কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।’

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের উত্তরে মেয়র বলেন, ‘সরকারি ভবন নির্মাণ প্রকল্প বলেই আরও বেশি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। জনগণের দুর্ভোগ যেন না হয়, পানি জমে এডিসের লারভা যেন না জন্মায়, এগুলোয় বিশেষ নজর রাখতে হবে। শুধু মিরপুরে নয়, রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হলে ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলেই আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা কঠোর ব্যবস্থা নেবেন। কিছুতেই জনগণের ভোগান্তি হতে দেয়া হবে না।’

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে জনগণকে আরও সচেতন হতে হবে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে জনগণের সচেতনতা জরুরি। এ বছর বর্ষার শুরু থেকেই আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। বিগত সময়ের তুলনায় ডেঙ্গুকে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রেখেছি। জনগণের সচেতনতা ও সহযোগিতা পেলে ডেঙ্গুকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারব। স্বচ্ছ পানি জমতে দেয়া যাবে না। বাসাবাড়ি, বারান্দা ও ছাদবাগান নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।’

ইতোমধ্যে ডিএনসিসি এলাকার ছাদবাগানের ডেটাবেজ তৈরি করা হয়েছে। আগামী অক্টোবরে কৃষি অধিদপ্তরের সহায়তায় ডিএনসিসি ছাদবাগান-বিষয়ক প্রশিক্ষণের আয়োজন করবে বলেও জানান ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৪৪টি নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিনা মূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান মেয়র আতিক। এ সময় তিনি ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে সময় নষ্ট না করে দ্রুত হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেয়ার আহ্বান জানান।

এ বিভাগের আরো খবর