ময়মনসিংহের গৌরীপুরে ছুরিকাঘাতে যুবক হত্যার ঘটনায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতিসহ তিনজনের নামে মামলা হয়েছে। আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ছয়জনকে।
নিহত জহিরুল ইসলাম মিঠুর বাবা মোখলেছুর রহমান খান শুক্রবার বিকেলে গৌরীপুর থানায় মামলাটি করেন।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান আব্দুল হালিম সিদ্দিকী নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আসামিরা হলেন গৌরীপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি একরামুল হোসেন মামুন, পৌর শহরের এলবার্ট ডেভিট রকি ও এলবার্ট ডেভিট সেন্টু। এ ছাড়া ছয়জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে।
নিহত ২৪ বছরের মিঠু উপজেলার বোকাইনগর ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে। গৌরীপুর সরকারি কলেজের অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পৌর শহরের পাটবাজারে দুই পক্ষের ঝগড়া থামাতে গিয়ে ডেভিট রকির ছুরিকাঘাতে মিঠু নিহত হন বলে অভিযোগ ওঠে।
সে সময় গৌরীপুর থানার ওসি জানান, সেদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পৌর শহরের পাটবাজারের টিপু সুলতানের জুয়েলারি দোকানে স্বর্ণ বিক্রি করতে যান এলবার্ট সেন্টু। স্বর্ণ মাপ দেয়ার পর দাম নিয়ে টিপুর সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় সেন্টুর। এতে সেন্টু ক্ষিপ্ত হয়ে দোকান থেকে বের হয়ে গিয়ে তার বড় ভাই ডেবিট রকিকে নিয়ে আবারও দোকানে আসেন।
দুই পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয়। এ সময় সেখানে থাকা মিঠু তাদের ঝগড়া থামাতে গেলে রকি তাকে ছুরিকাঘাত করেন। উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
মিঠুর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা পৌর শহরের মধ্যবাজারে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় কয়েকটি দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা।
এ বিষয়ে জানতে গৌরীপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি একরামুল হোসেন মামুনের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দিলেও রিসিভ করেননি। নিউজবাংলার পরিচয় দিয়ে এসএমএস দিলেও সাড়া মেলেনি।
ওসি খান আব্দুল হালিম সিদ্দিকী বলেন, ‘মামলার পর থেকে আসামিরা পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’