গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনি দগ্ধ হয়েছেন। এসময় দগ্ধ ও আহত হয়েছেন আরও ৪ জন।
জেলা পুলিশ লাইন্সে শুক্রবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (ডিবি ও মিডিয়া) আবু সায়েম নয়ন।
তিনি জানান, আহতদের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পাঠানো হয়।
পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় টিভি শো মীরাক্কেলখ্যাত বাংলাদেশি কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনি। ছবি: সংগৃহীতহাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) রফিকুল ইসলাম নিউজবাংলাকে জানান, ৫ জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আবু হেনা রনিসহ ২ জনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
দগ্ধ ও আহত অন্যরা হলেন গাজীপুর জেলা পুলিশের কনস্টেবল মোশারফ হোসেন, মেট্রোপলিটন পুলিশের কনস্টেবল রুবেল মিয়া, কনস্টেবল জিল্লুর রহমান ও কনস্টেবল ইমরান হোসেন।
এর মধ্যে আবু হেনা ও জিল্লুর রহমানকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
আরএমও আরও জানান, আবু হেনা রনি সবচেয়ে বেশি দগ্ধ হয়েছেন। তার শরীরের ২৫-৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের চতুর্থ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
ঘটনার সময় সেখানে ছিলেন নিউজবাংলার প্রতিবেদক। সেখানে কিছু গ্যাস বেলুন রাখা ছিল ওড়ানোর জন্য। কোনো ত্রুটির কারণে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করার পরও যখন সেগুলো ওড়াতে ব্যার্থ হন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপর সেগুলো নিয়ে যাওয়া হয় অনুষ্ঠানের উদ্বোধন মঞ্চের পেছনে।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধনে বেলুন ওড়ানোর চেষ্টা করছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কোনো ত্রুটির জন্য ওড়ানো যায়নি বলে বেলুনগুলো নেয়া হয় মঞ্চের পেছনে। ছবি কোলাজ: নিউজবাংলাকিছুক্ষণ পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অন্য অতিথিরা অনুষ্ঠানের মূল মঞ্চের দিকে চলে যান। এর পরই বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। উদ্বোধন মঞ্চের পেছনে গিয়ে দেখা যায় সবগুলো বেলুনই বিস্ফোরিত হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে আছে। নিচে লুটিয়ে পড়ে আছেন আহতরা।
সেখানে থাকা পুলিশ সদস্যরা আহতদের নিয়ে হাসপাতালের দিকে চলে যান।
কীভাবে বেলুনগুলো বিস্ফোরিত হলো, জানতে চাইলে মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বেলুন নিয়ে মঞ্চের পেছনে যাওয়ার পর কয়েকজন বেলুনে লাগানো গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ লেখা ফেস্টুন বেলুন থেকে খুলতে চেষ্টা করতে থাকে। তখন কেউ একজন ফেস্টুনের সুতা লাইটার জ্বালিয়ে বিচ্ছিন্ন করতে চেষ্টা করে। তখনই আগুন লেগে বেলুনগুলো ব্লাস্ট হয়ে যায়।’