বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গণমানুষের আস্থা হারালে আ.লীগের সঙ্গে নয়: জি এম কাদের

  •    
  • ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৯:৫০

জি এম কাদের বলেন, ‘আমরা দেশ ও মানুষের পক্ষে কথা বলতে চাই। আমরা সব সময় সত্য কথা বলতে চাই। ভালো কাজ করলে আমরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকতে পারি। কিন্তু আওয়ামী লীগ যদি গণমানুষের আস্থা হারিয়ে ফেলে, তাহলে আগামীতে আমরা তাদের সঙ্গে নাও থাকতে পারি।’

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ যদি গণমানুষের আস্থা হারিয়ে ফেলে, তাহলে আগামীতে জাতীয় পার্টি দলটির সঙ্গে নাও থাকতে পারে।

রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে শুক্রবার হিন্দু মহাজোটের প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘জাতীয় পার্টি কোনো জোটে নেই। গেল নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় পার্টির কোনো জোট ছিল না। তবে নির্বাচনে কিছু আসনে সমঝোতা হয়েছিল। তখন আসনভিত্তিক আমাদের নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করেছেন। আবার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জাতীয় পার্টির পক্ষে কাজ করেছেন। এ কারণেই আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমাদের একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা দেশ ও মানুষের পক্ষে কথা বলতে চাই। আমরা সব সময় সত্য কথা বলতে চাই। ভালো কাজ করলে আমরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকতে পারি। কিন্তু আওয়ামী লীগ যদি গণমানুষের আস্থা হারিয়ে ফেলে, তাহলে আগামীতে আমরা তাদের সঙ্গে নাও থাকতে পারি।’

কাদের বলেন, ‘দেশের মানুষ নির্বাচনে ইভিএম চায় না। আমরা শুরু থেকেই ইভিএমের বিপক্ষে। কারণ ইভিএম হচ্ছে শান্তিপূর্ণ কারচুপির মেশিন। ইভিএমে নির্বাচন হলে যাকে খুশি বিজয়ী করতে পারবে।’

নির্বাচন কমিশন আগামী সংসদ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা ঘোষণার পর অনেক দল নির্বাচন বর্জনের ডাক দিয়েছে। বিএনপিসহ কিছু সমমনা দল বলছে, তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাবে না।

তবে জাতীয় পার্টি নির্বাচন বর্জন করেনি জানিয়ে জি এম কাদের বলেন, ‘নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা অত্যন্ত কঠিন। আমরা বাস্তব অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নেব। আমরা দেশ ও সাধারণ মানুষের স্বার্থের কথা বিবেচনায় রেখে, দলীয় ফোরামে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।’

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় দলটির চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘দেশ ও মানুষের সেবার দায়িত্ব নিতেই আমরা রাজনীতি করছি। আগে যুদ্ধ-বিগ্রহের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করা হতো। যুদ্ধে কেউ শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে তাকে কঠিন শাস্তি দেয়া হতো, কখনও কখনও মৃত্যুদণ্ডও দেয়া হতো। এখন শান্তিপূর্ণ রাজনীতি ও নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণ করতে হয়।’

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, তাদের সব ধরনের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কেউ যদি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে, তবে যত অর্থবৃত্ত আর ক্ষমতাধর হোক না কেন, তাকে প্রতিহত করা হবে।

জি এম কাদের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সবাইকে এই কঠিন সময়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। বলেন, ‘সংখ্যালঘুদের মধ্যে যারা রাজনীতি করে অথবা বিত্তশালী তারা কোনোমতে ভালো আছে। কিন্তু গ্রামাঞ্চলের সংখ্যালঘুরা জানমাল ও সম্মান নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় আছে। ক্ষমতাসীন বা প্রভাবশালীদের নির্যাতনের শিকার হচ্ছে হতদরিদ্র সংখ্যালঘু সম্প্রদায়।’

তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টির দরজা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য সব সময় খোলা আছে। জাতীয় পার্টি সব সময়ই তাদের স্বার্থ রক্ষায় সংসদে ও রাজপথে থাকবে।’

দীনবন্ধু রায়ের সভাপতিত্বে ও প্রিয়াংকা সুকুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়, জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সভাপতি বিধান বিহারী গোস্বামী, মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক, সাংগঠনিক সম্পাদক সুশান্ত কুমার চক্রবর্তী, জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন দে।

এ বিভাগের আরো খবর