নেত্রকোণার মদনে ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে চয়ন হাসান নামে এক পল্লি চিকিৎসক মারা গেছেন। আবার ওই দুর্ঘটনাস্থল দেখতে এসে ইজিবাইকের নিচে পিষ্ট হয়ে মারা গেছে নাসিফা আক্তার নামে এক শিশু।
শুক্রবার বেলা ২টার দিকে উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের বালালী গ্রামে এ দুটি দুর্ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া চয়ন হাসান বালালী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। তার বয়স ৩৩ বছর। আর শিশু নাসিফা একই গ্রামের জুয়েল মিয়ার মেয়ে। তার বয়স ছয় বছর।
মদন থানার ওসি মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়দের বরাতে ওসি জানান, চয়ন হাসানের মামা জাকির হাসান তার বাড়ির সামনের পুকুর থেকে বিদ্যুৎচালিত মোটরের সাহায্যে একটি নির্মাণাধীন ঘরে পানি দিচ্ছিলেন।
এ সময় মোটরের তারে জড়িয়ে চয়নের ছেলে জিহান বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পুকুরে পড়ে যায়। পরে জিহানকে বাঁচাতে গিয়ে চয়ন হাসানও পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন।
স্থানীয়রা চয়ন ও তার ছেলেকে উদ্ধার করে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা চয়নকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে ওই ঘটনার খবর পেয়ে প্রতিবেশী জুয়েল মিয়ার মেয়ে নাসিফা আক্তার বাড়ির সামনের রাস্তা পার হয়ে ঘটনাস্থলের দিকে আসছিল। এ সময় একটি ইজিবাইক তাকে চাপা দিলে সে গুরুতর আহত হয়। পরে স্বজনরা তাকে নিয়ে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজের উদ্দেশে রওনা হলে পথেই তার মৃত্যু হয়।
মদন থানার ওসি মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম বলেন, ‘চয়ন হাসান বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এবং নাসিফা ইজিবাইকের চাপায় মারা গেছে। তাদের স্বজনদের মতামতের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’