বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মধ্যরাতে সংঘর্ষে চবি ছাত্রলীগের দুই পক্ষ

  •    
  • ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১০:৫৪

হলের প্রভোস্ট ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভুঁইয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সংঘর্ষের পর পরই আমাদের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা পুলিশসহ সেখানে যায়। সংঘর্ষের সময় ৩/৪ জন আহত হয়েছে বলে শুনেছি। আমরা একটা তদন্ত কমিটি করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’

হলের কক্ষ দখলকে কেন্দ্র করে মধ্যরাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৪ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ আবদুর রব হলে এ সংঘর্ষ হয়।

সংঘর্ষে বিবাদমান গ্রুপ দুটি হল বাংলা মুখ (বিএম) ও একাকার। দুই গ্রুপই সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।

ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হলের কক্ষ নিয়ে আগে থেকেই বিএম ও একাকারের মধ্যে দ্বন্দ চলছিল। রাতে দুই পক্ষের কর্মীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও উত্তেজনা শুরু হয়। পরে তা সংঘর্ষ গড়ায়। এ সময় হলের ৪/৫টি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষে আহত হন অন্তত ৪ জন।

একাকার গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মইনুল ইসলাম রাসেল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘১১৯ নম্বর রুম আমাদের। কিন্তু তারা (বিএম গ্রুপের কর্মীরা) দাবি করে সেটায় তারা সিট পাবে, কিন্তু কিছু দেখাতে পারেন না। এটা নিয়ে এটা নিয়ে আগে থেকে ঝামেলা ছিল।

‘গতকাল আমাদের মিটিং ছিল। মিটিং শেষ করে আমরা চলে আসছি। পরে বিএম গ্রুপের কর্মীরা আমাদের কর্মীদের উস্কানিমূলক কথা বলে। সেটা থেকে কথা কাটাকাটি এবং একপর্যায়ে মারামারি হয়। পরে প্রক্টরিয়াল বডির সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়। এ বিষয়ে শনিবার সুরাহা হবে। আমাদের কর্মীদের বলেছি আর কোনো ঝামেলায় না জড়াতে।’

বিএম গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি আবু বকর তোহা বলেন, ‘তারা বহিরাগত ছেলে এনে রব হলের গেস্টরুমে বৈঠক করছিল। ওদের গতিবিধি সন্দেহজনক বলে মনে হয় জুনিয়রদের। জুনিয়রদের মনে হয়, তারা বস্তায় করে পাথর বা লাঠিসোঁটা নিয়ে হলে আছে। আমি জেনে তাদের (একাকার) নেতা মইনুলকে ফোন দেই। মইনুল আমার সঙ্গে দেখা করবে বলে ছিল, কিন্তু করেনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বৈঠক শেষ হওয়ার পরই মইনুল একা বেরিয়ে যায়, তাদের ছেলেরা হঠাৎ হলের ৪/৫টা রুম ভাঙচুর শুরু করে। জুনিয়ররা দেখতে গেলে তাদের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে আমার জুনিয়ররা তাদের প্রতিহত করতে বাধ্য হয়।

‘রুম নিয়ে ঝামেলা আগে থেকেই ছিল। হঠাৎ করে অনেকগুলো রুম ভাঙচুর করা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ যোগ করেন তোহা।

শহীদ আব্দুর রব হলের প্রভোস্ট ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভুঁইয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সংঘর্ষের পর পরই আমাদের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা পুলিশসহ সেখানে যায়। সংঘর্ষের সময় ৩/৪ জন আহত হয়েছে বলে শুনেছি। আমরা একটা তদন্ত কমিটি করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’

এ বিভাগের আরো খবর