বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রেকর্ড বৃষ্টিতে ডুবল খুলনা

  •    
  • ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ২১:২৯

খুলনা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে খুলনায় ২৪ ঘণ্টায় এত বেশি বৃষ্টি হয়নি। এ ছাড়া চলতি বছরে এক দিনে খুলনায় এটিই সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত।’

২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে খুলনায়। টানা ভারি বর্ষণে খুলনা শহরের অধিকাংশ সড়ক ২ থেকে ৩ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে দীর্ঘ সময় শহরের অনেক এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

আবহাওয়া অফিস জানায়, বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় খুলনায় রেকর্ড ১৪৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার রাত ১টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ১৩০ মিলিমিটার।

খুলনা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে খুলনায় ২৪ ঘণ্টায় এত বেশি বৃষ্টি হয়নি। এ ছাড়া চলতি বছরে এক দিনে খুলনায় এটিই সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত।’

তিনি বলেন, ‘ভারতের দক্ষিণ-মধ্যপ্রদেশ ও এর পাশের এলাকায় একটি নিম্নচাপ অবস্থান করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও এর আশপাশে গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালার সৃষ্টি হয়েছে। যে কারণে বাংলাদেশের উপকূলে বৃষ্টিপাতসহ ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে।

‘একই সঙ্গে পূর্ণিমা ও বায়ুচাপ পার্থক্যে আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাটের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১-২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হচ্ছে।’

আমিরুল বলেন, ‘সৃষ্ট মেঘমালা ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়ছে। ঝড়ো হাওয়া কমে গেছে। খুলনায় এখন বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০ থেকে ২০ কিলোমিটার। তিন দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।’

টানা ভারি বৃষ্টির কারণে খুলনা শহরের রয়্যাল মোড়, সাতরাস্তা মোড়, মডার্ন মোড়, ময়লাপোতা, শিববাড়ী, সোনাডাঙ্গা, নিরালা, দৌলতপুর, রূপসা, মুজগুন্নী, নতুন রাস্তা, বয়রাসহ অ‌ধিকাংশ এলাকায় ২ থেকে ৩ ফুট পানি জমে যায়।

খুলনা মহানগরীর রূপসা এলাকার বাসিন্দা এহতেশামুল হক শাওন বলেন, ‘কখনও বাড়ির নিচতলায় পানি ওঠেনি। গত রাতের বৃষ্টিতে নিচতলায় পানি প্রবেশ করেছে।’

নিরালা এলাকার বাসিন্দা বদোরউদ্দীন বলেন, ‘শহরের অনেক ড্রেনে কাজ চলছে। সে জন্য বৃষ্টির পানি আটকে পড়েছে। তাতে দুর্ভোগ বেড়েছে। এ ছাড়া শহরের নদীগুলো বেদখল রয়েছে। এতে পানি নামতে পারে না।’

খুলনা সিটি করপোরেশনের সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুল আজিজ বলেন, ‘বৃষ্টির পানিতে খুলনার অধিকাংশ রাস্তা পানিতে নিমজ্জিত হয়। আমাদের কর্মীরা দ্রুত বিভিন্ন ড্রেনের নালা ছাড়িয়ে দিয়েছে। এতে পানি সরে গেছে।’

এ বিভাগের আরো খবর