বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পদোন্নতি না হওয়ার শঙ্কায় অধ্যাপক তাহেরকে খুন

  •    
  • ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৫:৩১

পূর্ণাঙ্গ রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের আহমেদ জীবিত থাকলে একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন কোনোদিন অধ্যাপক না হতে পারার শঙ্কায় ছিলেন। এমন শঙ্কা থেকেই তাহেরকে খুন করেন তিনি।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলায় আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ রায় প্রকাশ করে।

৬৮ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের আহমেদ জীবিত থাকলে একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন কোনোদিন অধ্যাপক না হতে পারার শঙ্কায় ছিলেন। এমন শঙ্কা থেকেই তাহেরকে খুন করেন তিনি।

এর আগে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানি শেষে গত ৫ এপ্রিল প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ রায় ঘোষণা করে।

রায়ে অধ্যাপক তাহের আহমেদ হত্যা মামলায় একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও নিহত তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলমের ফাঁসির আদেশ বহাল রাখে আপিল বিভাগ। পাশাপাশি দুই আসামি নাজমুল আলম ও তার সম্বন্ধি আব্দুস সালামের যাবজ্জীবন দণ্ডও বহাল রাখে আদালত।

আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও ব্যারিস্টার ইমরান এ. সিদ্দিক। তাহেরের পরিবারের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন তৎকালীন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারের ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয় নৃশংসভাবে হত্যার শিকার অধ্যাপক তাহেরের মৃতদেহ। ৩ ফেব্রুয়ারি নিহতের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলায় ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালত ৪ জনকে ফাঁসির আদেশ ও ২ জনকে বেকসুর খালাস দেন। খালাসপ্রাপ্ত চার্জশিটভুক্ত ২ আসামি হলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের তৎকালীন সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহী ও আজিমুদ্দিন মুন্সী। ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ এ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছিল পুলিশ।

পরে নিয়ম অনুযায়ী ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণ) হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন। সেসব আবেদনের শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল হত্যা মামলায় দুই আসামির ফাঁসির দণ্ডাদেশ বহাল এবং অন্য দুই আসামির দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেয় হাইকোর্ট।

ফাঁসির দণ্ডাদেশ বহাল রাখা হয়েছে যে দুই আসামির, তারা হলেন অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও মো. জাহাঙ্গীর আলম। যে দুজনের ফাঁসির দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে, তারা হলেন মো. জাহাঙ্গীর আলমের ভাই নাজমুল আলম ও তার সমন্ধি আব্দুস সালাম।

এ বিভাগের আরো খবর