বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খালি মাঠে গোল নয়, প্রতিদ্বন্দ্বিতার নির্বাচন চাই: কাদের

  •    
  • ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৫:০৬

‘সরকার সব দলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে বিশ্বাসী, নির্বাচনে অংশগ্রহণ সব দলের রাজনৈতিক অধিকার। এটি কোনো সুযোগ নয়। কিন্তু বিএনপি পরাজয়ের ভীতিতে আক্রান্ত। তাই তারা নির্বাচনে আসে না।’

আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ চান ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ভোট বর্জনে দলটির আগাম ঘোষণার মধ্যে তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ কখনও ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায় না, সব সময় প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন চায়।

বিএনপির কাছে কাদের আরও জানতে চেয়েছেন, ভোটে এলে তাদের নেতা কে হবেন। চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হওয়ায় তারা ভোটে অংশ নিতে পারবেন না। কাদেরের প্রশ্ন, ‘তাহলে তারা কীভাবে নির্বাচনে নেতৃত্ব দেবেন?’

বৃহস্পতিবার রাজধানীর সরকারি বাসভবনে অনলাইন ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন কাদের।

সরকার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী চায় না বলে বিএনপির পক্ষ থেকে আসা বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে বিএনপিই নির্বাচনকে ভয় পায়। শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা নিয়ে তাদের যত ভয়। আওয়ামী লীগ কখনো খালি মাঠে গোল দিতে চায় না, আওয়ামী লীগ চায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন।’

তিনি বলেন, ‘সরকার সব দলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে বিশ্বাসী, নির্বাচনে অংশগ্রহণ সব দলের রাজনৈতিক অধিকার। এটি কোনো সুযোগ নয়। কিন্তু বিএনপি পরাজয়ের ভীতিতে আক্রান্ত। তাই তারা নির্বাচনে আসে না।’

২০১৪ সালে দলীয় সরকারের অধীনে ভোটে না আসা বিএনপি ২০১৮ সালের নির্বাচনে এলেও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবি করছে। নইলে ভোটে না এসে আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা আছে তাদের।

তবে সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে বাতিল হওয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর ফেরার সুযোগ নেই, সেটি এরই মধ্যে একাধিকবার স্পষ্ট করেছে আওয়ামী লীগ। ভারত থেকে ফেরে সংবাদ সম্মেলনে বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্পষ্ট করে বলেছেন, কোনো ভোটে না আসতে চাইলে সরকার তাদের আনতে বিশেষ কোনো উদ্যোগ নেবে না।

বিএনপি নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত করতে চায় বলে মন্তব্য করেন কাদের। বলেন, ‘বিএনপির সময়ে নির্বাচন কমিশন গঠনে কোনো মতামত নেয়া হয়নি, কোনো প্রকার সংলাপ করা হয়নি। আজ্ঞাবহ কমিশন গঠনে এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিএনপি।’

কাদেরের মতে, বিএনপির শীর্ষ দুই নেতা ভোটে আসতে পারবে না বলেই তারা ভোট বর্জনের কথা বলছে। তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত, তারেক রহমান তো দুর্নীতির বরপুত্র, দণ্ডিত পলাতক আসামি। দুজনের কেউই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।

‘রাজনীতি না করার শর্তে যিনি মুচলেকা দিয়ে দেশ থেকে পালিয়েছেন, বিপদ দেখে এমন পলায়নপ্রিয় আর পলাতক আসামি কীভাবে বিএনপির নেতা হয়?’

আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী দল বলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যেরও জবাব দেন কাদের। বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে বিএনপিই দেশ-বিদেশে স্বীকৃত সন্ত্রাসী দল। কানাডার আদালতেও বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

‘সন্ত্রাস তারাই করে, যারা জনবিচ্ছিন্ন এবং আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থ। জনকল্যাণে যাদের কোনো ইতিবাচক কর্মসূচি থাকে না, তারাই সন্ত্রাস, ষড়যন্ত্রকে ক্ষমতায় যাওয়ার হাতিয়ার হিসেবে বেছে নেয়, বিএনপিও তাই করছে।’

এ বিভাগের আরো খবর