বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছিলাম, এখন বোঝা হয়ে যাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

  •    
  • ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৮:৪৩

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মানবিক কারণে তাদের স্থান দিয়েছি এটা ঠিক। কিন্তু এখন যে পর্যায়ে যাচ্ছে, তাতে আমাদের জন্য তো একটা বড় বোঝা হয়ে যাচ্ছে। তার পরও তারা তো মানুষ, আমরা তো ফেলে দিতে পারি না। আজকে এ রকম রিফিউজি তো সব জায়গাতেই হচ্ছে।’

মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মানবিক কারণে দেশে আশ্রয় দিলেও এখন তারা বোঝা হয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জানিয়েছেন, ভারত সফরে অন্য নানা বিষয়ের পাশাপাশি এই বিষয়েও দেশটির সঙ্গে কথা বলেছেন। ভারত বাংলাদশকে এ বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।

গত ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারত সফরের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে বুধবার সংবাদ সম্মেলনে আসেন শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি লিখিত বক্তব্যে জানান ভারতের সঙ্গে এ নিয়ে তার আলোচনার কথা। পরে প্রশ্নোত্তর পর্বেও তিনি কথা বলেন বিষয়টি নিয়ে।

বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ হয়ে আসছে আশির দশক থেকেই। তবে সবচেয়ে বড় ঢলটি নামে ২০১৭ সালের আগস্টে। ওই বছর বাংলাদেশ সীমান্ত পুরোপুরি খুলে দিলে ১০ লাখের বেশি মানুষ আশ্রয় নেয়। তাদের কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি নোয়াখালীর ভাসানচরে নির্মাণ করা হয়েছে বিশাল এক শিবির, যেখানে এক লাখ মানুষের আশ্রয় হবে।

পাঁচ বছর ধরেই বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা করছে। তবে দেশটি কোনো উদ্যোগেই সাড়া দিচ্ছে না। চুক্তি করেও অঙ্গীকার ভঙ্গ করছে তারা।

এই বিশাল জনগোষ্ঠীর খাদ্য, চিকিৎসা, নিরাপত্তা নিয়ে বাংলাদেশকে হিমশিম খেতে হচ্ছে, যদিও বিদেশি সহায়তাও কিছু আসছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা মানবিক কারণে তাদের স্থান দিয়েছি এটা ঠিক। কিন্তু এখন যে পর্যায়ে যাচ্ছে, তাতে আমাদের জন্য তো একটা বড় বোঝা হয়ে যাচ্ছে। তার পরও তারা তো মানুষ, আমরা তো ফেলে দিতে পারি না। আজকে এ রকম রিফিউজি তো সব জায়গাতেই হচ্ছে।’

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণেও অনেকে শরণার্থী হয়ে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আবার আরব স্প্রিং যখন হলো, তখন কত জায়গায় কত মানুষ রিফিউজি হয়ে গেল। ফিলিস্তিনে কত ছেলেমেয়ে পড়াশোনা করতে পারে না, খাবার পায় না। আফগানিস্তানের অবস্থাটাও আপনারা দেখেন। এটাই হচ্ছে সবচেয়ে দুঃখজনক। এ কারণেই আমার সব সময় একটা আহ্বান- আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। আর সাধারণ মানুষের উন্নতি চাই, এটাই আমাদের লক্ষ্য।’

মিয়ানমার সরকারের ওপরও বিরক্তি প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘এদের যে যতই চাপ দিক, এরা কোনো ইয়ে করে না। তারা নিজেরাই তো নিজেদের দ্বন্দ্ব-সংঘাতে লিপ্ত রয়ে গেছে। এখানেই বড় সমস্যা।’

রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারতের অবস্থান কী- সে প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভারত সব সময়ই মনে করে যে এ সমস্যা সমাধান হওয়া উচিত। এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারতও উপলব্ধি করে যে আমাদের এখানে রোহিঙ্গাদের দীর্ঘদিন অবস্থান দীর্ঘ একটা সংকট তৈরি করছে। আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ নষ্ট হচ্ছে, পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।

‘সবচেয়ে বড় কথা, ওদের নিজেদের ভেতরে নিজেদের দ্বন্দ্ব, যার ফলে এখানে নানা ধরনের…. এই যে ড্রাগ ট্রাফিকিং বা নিজেদের মধ্যে অস্ত্র-সংঘাত নানা ধরনের ঘটনা ঘটছে, যেটা পরিবেশটাকে আরও নষ্ট করছে।

‘তবুও আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। আর ভারতকেও আমরা বলছি যদি তারা এ ব্যাপারে একটু সহযোগিতা করে এবং তাদের সাড়াটা পেয়েছি ইতিবাচক।’

এ বিভাগের আরো খবর