নিয়ম করে লোডশেডিংয়ের দিনে বৃষ্টি এসেছে আশীর্বাদ হয়ে। সূর্যের খরতাপ কমায় জনজীবনে ফিরেছে স্বস্তি। তবে টানা বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়েছেন কর্মস্থলমুখী মানুষ।
রাজধানী ঢাকায় গণপরিবহনের অপ্রতুলতা নতুন কিছু নয়। সঙ্গে তীব্র যানজটে অফিস পৌঁছাতে লেগে যায় দীর্ঘ সময়। বৃষ্টিতে এই দুর্ভোগ বেড়েছে। রিকশা, সিএনজিওয়ালারা ভাড়া হাঁকছেন স্বাভাবিক দিনের চেয়ে বেশি।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এই বৃষ্টি স্থায়ী হতে পারে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। শুক্রবার শুরু হতে পারে রৌদ্রোজ্জ্বল দিন। এমন টানা বর্ষণের কারণ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি লঘুচাপে রূপান্তরিত হয়েছে।
তবে লঘুচাপটি ভারতের মহারাষ্ট্র দিয়ে স্থলভাগে উঠে যাওয়ায় আর কোনো বিপদের শঙ্কা নেই বলে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘লঘুচাপটি স্থলভাগে উঠে গেলে তার প্রভাব এখনও বঙ্গোপসাগরে রয়ে গেছে। ফলে সঞ্চারণশীল মেঘমালা তৈরি হয়েছে। আর যেহেতু মৌসুমি বায়ু প্রবাহিত হচ্ছে, তার প্রভাবে মেঘমালাটি ওপরের দিকে উঠে এসেছে।’
শুধু রাজধানী ঢাকা নয়, পুরো বাংলাদেশের সবখানে কমবেশি বৃষ্টি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এই আবহাওয়াবিদ।
বুধবার সকাল ৬টা থেকে পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা চুয়াডাঙ্গায়। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ১২১ মিলিমিটার। আর সবচেয়ে কম বৃষ্টি হয়েছে উত্তরের জেলা রংপুরে। পরিমাণ ছিল ১০ মিলিমিটার।
তবে দেশের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের জন্য সুপরিচিত মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বৃষ্টি হয়েছে ২০ মিলিমিটার, যা আবহাওয়াবিদের ভাষায় মাঝারি ধরনের বৃষ্টি।
আবহাওয়া অফিসের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত দেশের বেশির ভাগ অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে দমকা, ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের শঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস। আবার কোথাও কোথাও নামতে পারে ভারি বৃষ্টি।
মনোয়ার হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কালকের (বৃহস্পতিবার) পরে কমে যাবে।’
বৃষ্টি থেমে গেলে দেশের তাপমাত্রা কেমন থাকবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তাপমাত্রা তো কম। বৃষ্টির পরিমাণটা অনেক হয়েছে। সে জন্য তামপাত্রা বাড়তেও এক-দুদিন সময় লাগবে।’
ফলে বৃষ্টি থেমে গেলেও দু-এক দিন স্বস্তিতে থাকবেন দেশের মানুষ- এই আশ্বাস মিলেছে আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেনের কথায়। তারপর ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।