বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘অর্থ পাচারে স্বনামধন্য অনেকেই’

  •    
  • ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৭:৪২

অনেকের বিষয়ে এমন তথ্য আছে, যেগুলো লিখবেন কি না সন্দেহ আছে। অনেক স্বনামধন্যের ব্যাপারেও আছে। দুদক-বাংলাদেশ ব্যাংক এসব বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছে। আপনারা তখন লিখবেন কি না সেটা দেখব: প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচারের যে অভিযোগ, তা স্বনামধন্য অনেকের নামেই আছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণমাধ্যম এসব নাম ছাপাতে পারবে কি না, সে প্রশ্নও রেখেছেন তিনি।

গত ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর ভারত সফর নিয়ে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে বুধবার সরকারপ্রধান অন্যান্য নানা বিষয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার ও ডলার সংকট নিয়েও প্রশ্নের উত্তর দেন।

অর্থ পাচার বরাবর বাংলাদেশে তুমুল আলোচিত একটি বিষয়। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার পুলিশের অপরাধ তদন্ত সংস্থা সিআইডি সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ব্যবহার করে এক বছরে ৭৫ হাজার কোটি টাকা দেশের বাইরে পাচার হয়েছে।

একজন গণমাধ্যমকর্মী এ বিষয়টি নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানিগুলো নিয়ে সরকারের নজরদারি আছে কি না তা জানতে চান।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নজরদারিতে আনা হয়েছে বলেই তো জানতে পারলেন। আপনারা খুঁজে বের করেননি তো। সাংবাদিকরা খুঁজে বের করেননি।’

অর্থ পাচার নিয়ে তিনি বলেন, ‘আবার এমন অনেকেরই অর্থ পাচারের তথ্য আছে ওটা আপনারা লিখবেন কিনা আমার সন্দেহ আছে। আমি সোজা কথা বলি। বহু তথ্য আমার কাছে, অনেকের ব্যাপারে, অনেক স্বনামধন্যদের ব্যাপারেও আছে। তবে হ্যাঁ, এটা আমাদের দুর্নীতি দমন কমিশন ও আমাদের ব্যাংকের মাধ্যমে খোঁজ নেয়া হচ্ছে। এগুলো সামনে আসবে।’

‘কিন্তু এটা আপনারা তখন লিখলেন কিনা সেটা আমি দেখব। এটা হলো আমার কথা’- গণমাধ্যমের প্রতি আবার প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন শেখ হাসিনা।

ভারত সফর শেষে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি

অর্থ পাচার নিয়ে বাংলাদেশে বরাবর আলোচনায় থাকা সুইস ব্যাংকের কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা পাওয়া যায়নি বলেও জানান শেখ হাসিনা। বলেন, ‘তদন্ত হচ্ছে। সুইস ব্যাংকে বহু আগে ই-মেইল পাঠিয়েছিলাম, তালিকা চেয়েছিলাম। কিন্তু কোনো তালিকা আসেনি।’

অর্থ পাচার নিয়ে যে অভিযোগ আসে সেটি সুনির্দিষ্ট নয় বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘সবাই বলে যায়, হাওয়ায় কথা বলে যায়। কিন্তু কেউ সঠিক তথ্য দিয়ে বলতে পারে না। এটা একটা সমস্যা। আজকে মানি লন্ডারিংয়ের বিষয়ে এটা বন্ধ করতে আমাদের ব্যাপক উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।’

ডলার সংকট ও রিজার্ভ কমা নিয়ে এক প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ডলার সংকট তো বাংলাদেশের একার না। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বেই দেখা দিয়েছে।… ডলার নিয়ে কিছু খেলা হচ্ছিল। সেটা মনিটরিং হয়েছে বলে স্বস্তি আনতে পেরেছি।’

আগামী বছর বৈশ্বিক এই সংকট আরও বাড়ার আশঙ্কায় প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘আমার তো শঙ্কা হচ্ছে সারা বিশ্বে দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে। সারা বিশ্বের অর্থনীতি চরম সংকটে পড়বে।’

বাংলাদেশে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির পরামর্শও দেন সরকারপ্রধান। বলেন, ‘আমাদের মাটি আছে। উৎপাদন বাড়ালে খেয়ে-পরে বাঁচা যাবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইউরোপ আমেরিকার যে অবস্থাটা সেটা একবার চিন্তা করে দেখেন। সেখানে কী ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে! আমাদের নিজেদের সাশ্রয় ও সঞ্চয় একটা রাখতে হবে না হলে বিশ্বব্যাপী কিন্তু একটি ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে যদি এ যুদ্ধ বন্ধ না হয়, এই স্যাংশন প্রত্যাহার না হয়। তাহলে কিন্তু আরও খারাপ অবস্থা তৈরি হবে। আমাদের আগে থেকে ব্যবস্থা থাকতে হবে। আমি এটা সব সময় বলি, আগেও বলেছি, এখনও বলছি।’

বাংলাদেশের রিজার্ভ করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আর ডলার সংকট তো বাংলাদেশের একার না। এটা এখন বিশ্বব্যাপী সংকট দেখা দিয়েছে। আমেরিকা রাশিয়ার যুদ্ধের পরে যে স্যাংশন দিলো এটা দেয়ার পরে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে গেল। সেখানে সংকটটা আরও বেশি দেখা দিয়েছে। তারপরেও আমি বলব, আমরা যখন ৯৬ সালে সরকার গঠন করেছিলাম, আমাদের রিজার্ভ করতো ছিল?’

করোনার সময় রিজার্ভ বাড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘করোনার সময় কোনো খরচ ছিল না, আমাদের রিজার্ভ বেড়েছে। এরপর যখন আমাদের ক্যাপিটাল মেসিনারিজ থেকে শুরু করে আমদানি যখন শুরু হয়েছে। এতে রিজার্ভ কিছু কমেছে।’

বাংলাদেশ যেখান থেকে যত ঋণ নেয়, সময়মতো পরিশোধ করে বলেও জানান শেখ হাসিনা। বলেন, ‘আমরা কিন্তু কখনই কোনো দিন ডিফল্টার হই নি। সেটা করতে গিয়েও রিজার্ভে একটু টান পড়ে। এটাও বাস্তবতা।’

এ বিভাগের আরো খবর