ছুরিকাঘাতে যুবক নিহতের ঘটনার জেরে বাজারের কয়েকটি দোকানে আগুন দেন বিক্ষুব্ধ জনতা। এ আগুন নেভাতে গেলে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের ওপরও হামলা চালান বিক্ষুব্ধরা। এ সময় ভাঙচুর করা হয় ফায়ার সার্ভিসের দুটি গাড়িও।
হামলায় ফায়ার সার্ভিসের চার সদস্য আহত হয়েছেন। এর মধ্যে তিনজন চিকিৎসা নিয়ে স্টেশনে ফিরলেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে একজনকে।
ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌর শহরের পাট বাজার এলাকায় মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান আব্দুল হালিম সিদ্দিকী নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পৌর শহরের পাট বাজারের টিপু সুলতানের জুয়েলারি দোকানে স্বর্ণ বিক্রি করতে যান এলবার্ট সেন্টু। স্বর্ণ মাপ দেয়ার পর দাম নিয়ে টিপুর সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় সেন্টুর। এতে সেন্টু ক্ষিপ্ত হয়ে দোকান থেকে বের হয়ে গিয়ে তার বড় ভাই ডেবিট রকিকে নিয়ে আবারও দোকানে আসেন।
দুই পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয়। এ সময় সেখানে থাকা মিঠু তাদের ঝগড়া থামাতে গেলে রকি তাকে ছুরিকাঘাত করেন। উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
২৪ বছর বয়সী নিহত জহিরুল ইসলাম মিঠু উপজেলার বোকাইনগর ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে। গৌরীপুর সরকারি কলেজের অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি।
মিঠুর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা পৌর শহরের মধ্যবাজারে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় কয়েকটি দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা আগুন নেভাতে গেলে তাদের ওপরও হামলা চালান বিক্ষুব্ধরা। এতে ফায়ার সার্ভিসের চার সদস্য আহত হন।
ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক মো. মতিউর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটের ১২ জন সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন।
আগুন নেভানোর কাজ শুরুর আগেই স্থানীয়রা হামলা চালায়। এ সময় আমাদের দুটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। হামলায় চার সদস্য আহত হয়েছেন। তিনজন চিকিৎসা শেষে গৌরীপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে ফিরে গেলেও একজন এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’
ওসি বলেন, ‘ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা প্রক্রিয়াধীন। অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।’