যাত্রী সংকট ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় লোকসান এড়াতে ঢাকা-বরিশাল নৌপথে ৩টি করে লঞ্চ চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন লঞ্চ মালিকরা। ঢাকার সদরঘাট থেকে প্রতিদিন ৩টি ও বরিশাল নদী বন্দর থেকে ৩টি লঞ্চ যাত্রী পরিবহন করবে।
তিন থেকে চারদিনের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
বিষয়টি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিশ্চিত করেছেন এমভি মানামী লঞ্চের পরিচালক আহম্মেদ জাকি অনুপম।
তিনি জানান, সকালে ঢাকায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল সংস্থার সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি নিউজবাংলাকে জানান, সংস্থার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় ঢাকা-বরিশাল রুটের ১৮টি লঞ্চকে ৬টি গ্রুপে ভাগ করা হয়।
এর মধ্যে ক গ্রুপে পারাবত ১১, সুন্দরবন ১১ ও কীর্তণখোলা ২, খ গ্রুপে সুরভী ৮, মানামী ও অ্যাডভেঞ্চার ৯, গ গ্রুপে সুন্দরবন ১০, পারাবত ১২ ও অ্যাডভেঞ্চার ১, ঘ গ্রুপে পারবত ৯, সুরভী ৭ ও প্রিন্স আওলাদ ১০, ঙ গ্রুপে পারাবত ১০, সুন্দরবন ১৬ ও কুয়াকাটা ২ এবং চ গ্রুপে সুরভী ৯, পারাবত ১৮ ও কীর্তণখোলা ২০ আছে।
প্রতিদিন ঢাকার সদরঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া লঞ্চ ভোর ৫টার মধ্যে বরিশাল নদী বন্দরে পৌঁছাবে এবং সেখান থেকে ছেড়ে যাওয়া ৩টি লঞ্চকে সকাল ৬টার মধ্যে ঢাকার সদরঘাটে পৌঁছানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয় সভায়।
মানামী লঞ্চের পরিচালক অনুপম বলেন, ‘সভায় একটি লঞ্চ অপর লঞ্চকে ওভারটেক করতে পারবে না বলেও সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া মঙ্গলবারে মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে হবে বলে জানানো হয়। মূলত লোকসান এড়াতে আমাদের এই সিদ্ধান্ত।’