মহাসড়কে কাভার্ড ভ্যান আটকে ঘুষ নেয়ার দায়ে কাস্টমস কর্মকর্তা গোলামুর রহমানকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
নোয়াখালীর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এ এন এম মোরশেদ খান মঙ্গলবার বিকেলে এ রায় দেন। একই সঙ্গে দণ্ডিতকে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও চার মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বিত কার্যালয় নোয়াখালীর পিপি আবুল কাশেম এসব তথ্য জানান।
সাজাপ্রাপ্ত গোলামুর রহমানের বাড়ি চট্রগ্রামের মোঘলটুলী এলাকায়। তিনি ফেনী জেলার কাস্টমস সুপারিনটেনডেন্ট পদে ছিলেন।
আদালতের নথি ও মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৮ সালে নিলামে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কিছু গার্মেন্টস পণ্য কেনেন ব্যবসায়ী সেলিম। একই বছরের ২০ আগস্ট ওই পণ্য কাভার্ড ভ্যানে চট্রগ্রাম থেকে ঢাকায় নেয়ার পথে রাত ২টার দিকে ফেনীতে আটক করেন ফেনীর কাস্টমস সুপারিনটেনডেন্ট গোলামুর রহমান ও ইন্সপেক্টর বিএম শাহজাহান। পণ্যগুলো অবৈধ বলে ৬০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন গোলামুর রহমান।
এ সময় চট্টগ্রাম-২ দুদকের পরামর্শে ৬০ হাজার টাকায় চিহ্ন দিয়ে গোলামুর রহমানকে দেয়ার প্রক্রিয়া হয়। ওই ঘুষ দেয়ার সময় দুদকের সহকারী পরিচালক শেখ আবদুস সালাম তাকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেন।
এ ঘটনায় চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী সেলিম বাদী হয়ে মামলা করেন। পরে ঘটনা তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা।
দুদকের আইনজীবী আবুল কাশেম জানান, মামলার আসামি গোলামুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় বিচারক ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধি আইনের ১৬১ ধারায় তাকে দুই বছর এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে আরও তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। পাশাপাশি তাকে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও চার মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।