বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৭২ ভরি স্বর্ণ চুরি, তিন সপ্তাহে ধরে ফেলল পুলিশ

  •    
  • ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ২১:০৬

গত ২০ আগস্ট রাতে কলাবাগান লেক সার্কাস ডলফিন গলিতে একটি বাসার দ্বিতীয় তলায় গ্রিল কেটে ৭২ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ এক লাখ টাকা চুরি হয়। এই ঘটনায় সোমবার চার জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

রাজধানীর কলাবাগানের একটি বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালঙ্কার চুরির মামলা করার তিন সপ্তাহের মধ্যে চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে একজন চোরাই স্বর্ণ কেনাবেচা করতেন বলে জানিয়েছে বাহিনীটি। বাকিরা সরাসরি চুরিতে জড়িত বলে জানিয়েছে তারা।

পুলিশ জানায়, সবজি বিক্রেতা সেজে বাসায় বাসায় রেকি করে পরে সুযোগ বুঝে চুরি করে চক্রটি। রাজধানীর কলাবাগান ও আদাবর থেকে এই চক্রের ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তাদের কাছ থেকে পাওয়া গেছে তিনটি পিস্তল ও শতাধিক রাউন্ড গুলি। উদ্ধার করা হয় চুরি করা তিন ভরি সোনার গয়না ও ৮৫ হাজার টাকা।

গ্রেপ্তার হওয়া চার জন হলেন মো. সোহেল, মো. ফরহাদ, ইলিয়াস শেখ ও আনোয়ারুল ইসলাম ওরফে আনোয়ার।

সোমবার রাতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে কলাবাগান থানা পুলিশ। মঙ্গলবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তথ্য জানান ডিএমপির রমনা বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ।

তিনি জানান, গত ২০ আগস্ট রাতে কলাবাগান লেক সার্কাস ডলফিন গলিতে একটি বাসার দ্বিতীয় তলায় গ্রিল কেটে ৭২ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ এক লাখ টাকা চুরি হয়।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কলাবাগান থানায় মামলা করেন। এরপর নিউমার্কেট জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামানের নেতৃত্বে কলাবাগান থানার একটি দল গ্রেপ্তার অভিযানে নামে।

তারা কলাবাগান থানা ও রাজধানীর আশপাশের ৫০০ এর বেশি সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে সন্দেহভাজনদের শনাক্ত করে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করে কলাবাগান থানার ডলফিন গলির থেকে সোহেল, ফরহাদ ও ইলিয়াসকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে চোরাই স্বর্ণ ক্রয়-বিক্রয়ে জড়িত স্বর্ণ ব্যবসায়ী আনোয়ারুল ইসলামকে আদাবর থানার নবোদয় হাউজিং বাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ বলেন, ‘তারা ভ্যানে করে ডাব, সবজি বা ফল বিক্রেতা সেজে ফাঁকা বাসা টার্গেট করে। পরে সময় সুযোগ বুঝে গ্রিল কেটে চুরি করে। আর চুরি করার সময় কোনো ধরনের বাধা আসলে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মূল্যবান মালামাল কেড়ে নেয়।’

তাদের বিরুদ্ধে ডিএমপির কলাবাগান থানায় দুইটি মামলা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর