দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল না করার মামলায় কর্নেল (অব.) মো. শহিদ উদ্দিন খানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
অবসরপ্রাপ্ত এই সেনা কর্মকর্তাকে এর আগে অস্ত্র আইনের মামলায় যাবজ্জীবন, কর ফাঁকির এক মামলায় ৯ বছর ও ভুয়া দলিল তৈরি করে জমি বিক্রির আরেক মামলায় ৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাজিজুর রহমান মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে তাকে ৩ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
দণ্ডিত আসামি পলাতক থাকায় রায় ঘোষণার পর আসামির বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
দুদকের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন প্রসিকিউটর রফিকুল হক বেনু। দুদকের আরেক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর জানান, ‘আদালত মাত্র চার কার্যদিবসে বিচার শেষ করে রায় দিয়েছে।’
মামলাটিতে ৮ আগস্ট অভিযোগ গঠনের পর ২৩ আগস্ট ও ৭ সেপ্টেম্বর ৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত। এরপর মঙ্গলবার যুক্তিতর্কের পর রায় ঘোষণা করা হয়।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, কর্নেল (অব.) মো. শহীদ উদ্দীন খান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে মোট ৩৯ কোটি ৭৩ লাখ ৪০ হাজার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। অবৈধ সম্পদের মধ্যে রাজধানীর বারিধারায় একটি ফ্ল্যাট, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডে ২৬ কোটি টাকার এফডিআর ও ইস্টার্ন ব্যাংকে পাঁচ কোটি টাকার এফডিআরসহ বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারের তথ্য রয়েছে।
দুদকের অনুসন্ধানে এসব সম্পদের কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি। এর আগে তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ দেয় দুদক। তবে শহীদ খানের পক্ষ থেকে কোনো সম্পদের হিসাব দাখিল করা হয়নি।
এর আগে অস্ত্র আইনের মামলায় ২০২০ সালের ১০ নভেম্বর শহিদ উদ্দিন খানসহ চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত।
এছাড়াও কর ফাঁকির এক মামলায় শহিদ উদ্দিন খানকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দেয় বিচারিক আদালত।
ভুয়া দলিল তৈরি করে জমি বিক্রির আরেক মামলায় তাকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।