বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনা: শনাক্তের হার ছাড়াল ১০ শতাংশ

  •    
  • ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৯:০২

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও একজন। এতে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৩৩৫ জনে।

টানা নয় দিন ধরে বেড়েই চলেছে করোনাভাইরাস শনাক্তের হার। চতুর্থ ঢেউ আঘাত হানার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে খুব বেশি সময় লাগেনি। কিন্তু সেই সুফল ধরে রাখা যাচ্ছে না। লাফিয়ে বাড়ছে শনাক্তের হার। টানা নয় দিন ধরে ক্রমবর্ধমান এই হার এখন ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার আরও বেড়ে হয়েছে ১০ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এই সময়কালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও একজন।

দেশে করোনার চতুর্থ ঢেউ শুরুর পর গত ১১ আগস্ট প্রথমবারের মতো শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে নামে। ওইদিন ৪ হাজার ৮০৬ জনের শরীরে নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ৪৫।

তার পর থেকে এ হার ওঠানামা করলেও তা ৫ শতাংশ ছাড়ায়নি। কিন্তু ৫ সেপ্টেম্বর থেকে তা আবারও ৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। যা এখন বাড়তে বাড়তে ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ১২২টি নমুনা পরীক্ষা করে ৪৩৫ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। নতুন শনাক্তদের ৩১৮ জন ঢাকা মহানগরের বাসিন্দা।

শনিবার করোনাভাইরাস শনাক্তের হার ছিল ৮ দশমিক ৬২ শতাংশ। রোববার তা বেড়ে হয়েছে ৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ। আর সোমবার তা আরও বেড়ে হয় ৯ দশমিক ২৩ শতাংশ।

ফলে হিসাব বলছে, এক দিনের ব্যবধানে শনাক্ত বেড়েছে ১ দশমিক ৩২ শতাংশ।

নতুন শনাক্ত রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লাখ ১৫ হাজার ৭৪৩ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও একজন। এতে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৩৩৫ জনে।

যিনি মারা গেছেন তার বাড়ি লক্ষ্মীপুরে, তিনি একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ২৩০ জন। সব মিলিয়ে দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৫৯ হাজার ২৬৭ জন।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর ২০২১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তা নিয়ন্ত্রণে আসে। মার্চের শেষে আবার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানে। সেটি নিয়ন্ত্রণে আসে ওই বছরের ৪ অক্টোবর।

গত ২১ জানুয়ারি দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ দেখা দেয়। প্রায় তিন মাস পর ১১ মার্চ তা নিয়ন্ত্রণে আসে। তিন মাস করোনা স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতিতে ছিল। এরপর ধারাবাহিকভাবে বাড়তে শুরু করে সংক্রমণ। তবে করোনার চতুর্থ ঢেউ সামলে ভাইরাসটি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর