বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘সুষ্ঠু নির্বাচন করতে না পারলে আগেই সরে দাঁড়ান’

  •    
  • ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৬:৪৯

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা বলছেন, নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা তাদের কাজ নয়। তাদের বোঝা উচিত, সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত না হলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না।’

সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সক্ষম হবে না বুঝতে পারলে আগেভাগেই নির্বাচন কমিশনকে দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। মঙ্গলবার নিজের বনানী কার্যালয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের এ কথা বলেন তিনি।

নির্বাচন কমিশন ক্ষমতাসীনদের ভাষায় কথা বলছে বলে উল্লেখ করেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান। বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন ক্ষমতাসীনদের ভাষায় কথা বলছে। দায় এড়াতেই নির্বাচন কমিশন আগাম অনেক কথা বলছে।’

জি এম কাদের বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা বলছেন, নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা তাদের কাজ নয়। তাদের বোঝা উচিত, সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত না হলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না।

‘বেশির ভাগ রাজনৈতিক দলের মতামত উপেক্ষা করে, নির্বাচন কমিশন হঠাৎ করেই ইভিএমে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নির্বাচন কমিশন বলেছে, সকল দল চাইলে ব্যালটে নির্বাচন হবে।

‘আসলে নির্বাচন কমিশনের বলা উচিত ছিল, সবাই চাইলে ইভিএমে নির্বাচন করা হবে। কারণ, ব্যালট পেপারে নির্বাচন বিদ্যমান এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য। দেশের মানুষ ব্যালটেই ভোট দিতে চায়। তাছাড়া উন্নত বিশ্বসহ প্রতিবেশী অনেক দেশ এখন ইভিএম বর্জন করছে।

‘নির্বাচন কমিশনের উচিত একটি স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা করা। সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সক্ষম হবেন না বুঝতে পারলে আগেভাগেই নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াতে পারেন। কারণ, নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে আগামী প্রজন্ম কাউকেই ক্ষমা করবে না।’

জি এম কাদের বলেন, ‘অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির কারণে দেশের মানুষ কষ্টে আছে। জবাবদিহিতার অভাবে সমাজের রন্ধ্রে-রন্ধ্রে দুর্নীতি ছেয়ে গেছে। শুধু জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা গেলেই দেশ থেকে দুর্নীতি বিদায় করা সম্ভব। আর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিকল্প নেই।

‘১৯৯০ সালের পর থেকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বারবার রাষ্ট্রক্ষমতায় গিয়ে জবাবদিহিতাহীন রাজনৈতিক সংস্কৃতি সৃষ্টি করেছে। যদি পাঁচ বছর পর পর রাজনীতিবিদদের সাধারণ মানুষের কাছে যেতে হয়, তাহলেই সকল ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে। দুটি দলই রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে আর ক্ষমতা ছাড়তে চায় না। এ কারণেই দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর