দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম ব্যবহার বাড়াতে নতুন যে প্রকল্প নির্বাচন কমিশন (ইসি) সভায় তোলা হয়েছিল তা সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে। তবে আগামী সোমবার পরের কমিশন সভায় চূড়ান্ত হতে পারে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বর্তমান কমিশনের সপ্তম কমিশন সভা শেষে ইসি সচিব হূমায়ুন কবীর খোন্দকার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কমপক্ষে দেড় শ আসনে ইভিএমে ভোট করার সিদ্ধান্তের কথা জানায় আউয়াল কমিশন।
সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি, বিএনপির বিরোধিতার মধ্যেই এ সিদ্ধান্ত নেয় ইসি।
তবে ভোট নিতে বর্তমানে দেড় লাখ ইভিএম আছে কমিশনের কাছে, যা দিয়ে সর্বোচ্চ ৭০ আসনে ভোট করা সম্ভব। তাই দেড় শ আসনে ইভিএমে ভোট করতে আরও অন্তত দেড় লাখ ইভিএম কিনতে হবে কমিশনকে।
ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেন, ‘বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন তাদের সপ্তম কমিশন সভা করেছে। তাদের সম্মুখে নির্বাচনি ব্যবস্থায় তথ্যপ্রযুক্তি প্রয়োগ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ইভিএম ব্যবহার বৃদ্ধি এবং টেকসই ব্যবস্থাপনা শীর্ষক প্রকল্পটি আলোচনা হয়। উনারা (কমিশন) দীর্ঘক্ষণ ধরে আলোচনা করে। অনেক বিষয় উনারা দেখেছেন, নির্দেশনা দিয়েছেন। পরে কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে।’
মঙ্গলবারের সভা স্থগিত করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আগামী সপ্তাহে যে সভা হবে, সেখানে উনারা সিদ্ধান্ত নেবেন।’
কী আলোচনা হলো এবং পরের সভায় কী হবে জানতে চাইলে হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘আজকে মূলত প্রতিটি ইভিএমের দর কত হতে পারে, বাজারদর যাচাই করা হয়েছে। একটি কমিটি করা হয়েছিল, বাজারদর কমিটি যাচাই করবে। পরের সভায় এটি তুলে ধরবে এবং মাননীয় কমিশন পর্যালোচনা করে তারা ফাইনাল সিদ্ধান্ত নেবেন।’
তিনি বলেন, ‘বাজার দর যাচাইয়ের কমিটি আগেই করা হয়েছে। তারা এখনো শেষ করতে পারে নাই। এ কারণে আজকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় নাই। এটি আরও পর্যালোচনা করবে। আগামী সপ্তাহে আমরা আশা করছি সোমবারের দিকে সভা বসবে, তখন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।’
ইভিএম মেশিনের যন্ত্রাংশ কোন দেশ থেকে আনা হবে সে বিষয়ে কিছু বলতে চাননি সচিব হুমায়ুন কবীর।
এমনকি ইভিএম কেনার প্রকল্পের আকার সম্পর্কেও তিনি জানাননি। বলেছেন, ‘এখনো এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। সোমবারে যখন সভা হবে তখন ডিটেইলস জানাব।’