ঠাকুরগাঁও সদরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে আদালতে ধর্ষণের মামলার আবেদন করেছেন এক কিশোরীর মা। আদালত অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করে তদন্তের জন্য সদর থানা উপপরিদর্শককে নির্দেশ দিয়েছে।
ঠাকুরগাঁও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে গত রোববার মামলার আবেদন করেন ধর্ষণের অভিযোগ করা কিশোরীর মা। বিষয়টি সোমবার নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁও জজ কোর্টের আইনজীবী নাজমুল ইসলাম।
মামলার আসামি মুজিরুল ইসলামের বাড়ি সদরের চিলারং ইউনিয়নের চিলারং গ্রামে। তিনি চিলারং ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ঋষিকেশ রায় লিটন।
এজাহারের বরাতে আইনজীবী নাজমুল ইসলাম জানান, মা-বাবার বিয়ে বিচ্ছেদের পর থেকে মায়ের সঙ্গে থাকত ওই কিশোরী। পূর্ব পরিচিত হওয়ায় বিভিন্ন সময় তাদের বাসায় প্রায়ই আনাগোনা ছিল মুজিরুলের। তিনি কিশোরীকে লেখাপড়া করানোর দায়িত্ব নেয়ার আশ্বাস দিয়ে বছর দেড়েক আগে মেয়েটিকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে তাকে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করেন।
বাদীর অভিযোগ, সবশেষ গত ৪ আগস্ট বাড়ির পাশের আখক্ষেতে নিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন মুজিরুল। এ ঘটনার পর মেয়েটি স্থানীয় ইউপি সদস্যকে বিষয়টি জানালে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এলাকায় বিষয়টি জানাজানি হলে সালিশও ডাকা হয়। সালিশে অভিযোগ অস্বীকার করেন মুজিরুল।
ইউপি সদস্য মো. আলাউদ্দীন জানান, মেয়েটিকে মুজিরুল তার ছেলের বউ করে নিয়ে এসেছিলেন বলে দাবি করেছেন। মেয়েটি ধর্ষণের অভিযোগ করায় তাকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন তিনি।
সদর থানার এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চন্দন রায় জানান, মামলার তদন্তের কাজ শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত মুজিরুল পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।