খুলনার বটিয়াঘাটায় রান্না করা পটকা মাছ খাওয়ার পর বিষক্রিয়ায় মা ও ছেলে মারা গেছেন।
বটিয়াঘাটার জলমা ইউনিয়নের মাথাভাঙ্গা গ্রামে সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জলমা ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মনোয়ারা খাতুন নিউজবাংলাকে এ তথ্য জানান।
নিহতরা হলেন, ৬০ বছর বয়সী পরী বেগম ও তার ছেলে ৩৬ বছর বয়সী জাহাঙ্গীর।
এছাড়া একই সাথে মাছ খাওয়ায় জাহাঙ্গীরের খালাতো ভাই সাইদুলকে অসুস্থ অবস্থায় খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তাদের বাড়ি বটিয়াঘাটার জলমা ইউনিয়নের মাথাভাঙ্গা গ্রামে।
জলমা ইউপি সদস্য মনোয়ারা খাতুন বলেন, ‘পরি বেগমের পরিবার খুবই দরিদ্র। তারা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন। পরি বেগম দুপুরে রূপসা নদী থেকে পটকা মাছ ধরে রান্না করেন। পরে ছেলে জাহাঙ্গীর ও ভাগ্নে সাইদুলকে নিয়ে রান্না করা মাছ খান। কিছু সময় পর তিন জনই অসুস্থ হয়ে পড়েন।
‘খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে পরি বেগম মারা যান। হাসপাতালে মারা যান জাহাঙ্গীর। সাইদুল এখনও সেখানে ভর্তি আছেন।’
খুলনার বিএল কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আনিছুর রহমান বলেন, ‘পটকা মাছের অনেক প্রতিজাতি রয়েছে। তার মধ্যে কিছু প্রজাতির দেহে টেট্রোডোটোক্সিন নামক এক ধরণের বিষ থাকে। সেই প্রজাতির মাছ খেলে মানুষের পাকিস্থলিতে বিষক্রিয়া শুরু হয়ে। তাতে মৃত্যু হয়।’