বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পঞ্চগড়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার নরসিংদীর তরুণী

  •    
  • ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ২১:৪৮

বোদা থানার ওসি সুজয় কুমার রায় জানান, এই ঘটনায় পুলিশ প্রধান আসামি মালেক ও তার এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তরুণীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।

মোবাইল ফোনে পরিচয় থেকে প্রেম। অতপর প্রেমিককে বিয়ে করার আশায় পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় এসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন নরসিংদীর এক তরুণী।

গত শুক্রবার গভীর রাতে বোদা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৪ জনের নামে মামলা করেন ওই তরুণী। তবে ঘটনাটি সোমবার রাতে সাংবাদিকদের জানায় পুলিশ।

আসামিদের মধ্যে বোদা উপজেলার সিপাইপাড়া এলাকার মহিদুলের ছেলে ২৫ বছর বয়সী আব্দুল মালেক হলেন তরুণীর কথিত প্রেমিক। অন্য তিনজন হলেন- মালেকের বন্ধু প্রসাদ খাওয়া এলাকার রহিদুলের ছেলে মো. আপন, একই এলাকার মকবুল হোসেনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম এবং তাদের সহযোগী বামনপাড়া এলাকার সামসুদ্দিনের ছেলে আলমগীর হোসেন।

মামলার পর এক অভিযানে প্রেমিক আব্দুল মালেক ও তার সহযোগী আলমগীরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয়ের সূত্র ধরে আব্দুল মালেকের সঙ্গে দেড় বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল নরসিংদীর জেলার ওই তরুণীর। কাজের সুবাদে তিনি নারায়ণগঞ্জে থাকেন। প্রেমের এক পর্যায়ে মালেক তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন এবং পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় আসতে বলেন।

মালেকের কথায় রাজি হয়ে বিয়ে করার উদ্দেশে নারায়ণগঞ্জ থেকে বাসে চড়ে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বোদা উপজেলায় আসেন তরুণী। বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছে মালেকের সঙ্গে দেখা হয় তার। পরে সহযোগী আলমগীরের ইজিবাইকে চড়ে তরুণীকে উপজেলার প্রসাদখাওয়া গ্রামে বাচ্চু মিঞার বাড়িতে নিয়ে যান মালেক।

বাচ্চু মিঞার বাড়িতে কোনো লোকজন না থাকায় তরুণী কিছুটা ভয় পেয়ে যান। বুঝতে পারেন, অসৎ উদ্দেশ্য আছে।

এ সময় আপন ও আশরাফুল নামে দুই বন্ধুকে তরুণীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন মালেক। তারা কথা বলতে শুরু করেন। কিছুক্ষণ পর কাজি অফিসে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তরুণীকে তারা বাচ্চু মিঞার বাড়ির পাশের আমবাগানে নিয়ে যান। পরে সেখানে তরুণীকে শারীরিক মেলামেশার প্রস্তাব দেন মালেক।

কিন্তু প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আপন ও আশরাফুল ইসলাম ওই তরুণীর মুখ চেপে ধরলে প্রথমে মালেক তাকে ধর্ষণ করেন। পরে আপন ও আশরাফুলও রাত ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এ সময় আলমগীর সহ অজ্ঞাত আরও দুই-তিনজন তাদের পাহারা দেয়।

এক পর্যায়ে তরুণীর চিৎকারে স্থানীয় কয়েকজনকে টর্চ জ্বালিয়ে এগিয়ে আসতে দেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় সবাই। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় থানায় গিয়ে উপস্থিত হন তরুণী।

বোদা থানার ওসি সুজয় কুমার রায় জানান, এই ঘটনায় পুলিশ প্রধান আসামি মালেক ও তার এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তরুণীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। অন্য আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।

এ বিভাগের আরো খবর