চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত ছয় মাসে দেশের অধস্তন আদালতে মামলা (ফৌজদারি ও দেওয়ানি) দায়েরের তুলনায় নিষ্পত্তির হার অনেক বেড়েছে।
সোমবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের প্রকাশ করা এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনের তথ্যমতে, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে মামলা দায়ের হয়েছে ৭ লাখ ৪৭ হাজার ৪৭৬টি। তার মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে ৬ লাখ ৮৬ হাজার ৯৫২টি। সে হিসাবে মামলা নিষ্পত্তির হার ৯১ দশমিক ৯০ শতাংশ, যা গত বছরের প্রথম ছয় মাসের তুলনায় ৩২ দশমিক ৪০ শতাংশ বেশি।
গত বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত প্রথম ছয় মাসে মামলা হয় ৬ লাখ ৫৫ হাজার ৯৮১টি। তার মধ্যে নিষ্পত্তি হয় ৩ লাখ ৯০ হাজার ৩১১টি। গড় নিষ্পত্তির হার ৫৯ দশমিক ৫০ শতাংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আট বিভাগের অধস্তন আদালতের কার্যক্রম তদারকিতে উচ্চ আদালতের ৮ বিচারকের নেতৃত্বে পৃথক কমিটি গঠন করার পর মামলা নিষ্পত্তির হার বেড়েছে।
প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেয়ার পর ২ জানুয়ারি এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছিলেন, ‘দেশের সব অধস্তন আদালতে মামলাজট নিরসন তথা বিচারপ্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা আনার লক্ষ্যে আটটি বিভাগের জন্য হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিকে প্রধান করে একটি করে মনিটরিং সেল গঠন করা হবে।’
প্রধান বিচারপতির এ ঘোষণার পর ২৭ জানুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিদের দিয়ে আট বিভাগের জন্য আটটি কমিটি গঠন করে দেয়া হয়।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামকে ঢাকা বিভাগ, বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনকে খুলনা বিভাগ, বিচারপতি জাফর আহমেদকে বরিশাল বিভাগ, বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লাকে চট্টগ্রাম বিভাগ, বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানকে সিলেট বিভাগ, বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনকে রংপুর বিভাগ, বিচারপতি মো. জাকির হোসেনকে ময়মনসিংহ বিভাগ ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানকে রাজশাহী বিভাগের দায়িত্ব দেয়া হয়।
দায়িত্ব পাওয়া এসব বিচারপতিকে সাচিবিক সহায়তা দিতে সুপ্রিম কোর্টে কর্মরত বিচার বিভাগীয় আট কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়।
প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রথম ছয় মাসে মামলা নিষ্পত্তির হার সবচেয়ে বেশি ময়মনসিংহ বিভাগে এবং সবচেয়ে কম ঢাকা বিভাগে।