বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খালেদার ভারত সফর নিয়ে ভুল তথ্য আব্বাসের

  •    
  • ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ২১:১৯

মির্জা আব্বাস প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘এর আগে বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ভারত গিয়েছিলেন, সেখানে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং তাকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। এবার আমার দেশের প্রধানমন্ত্রী গেলেন তাকে একজন প্রতিমন্ত্রী স্বাগত জানিয়েছেন, এটা লজ্জা। বাংলাদেশের জন্য লজ্জা।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ভারত সফর নিয়ে ভুল তথ্য দিয়েছেন।

তিনি দাবি করেছেন, খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় ভারত সফরে গেলে তাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানিয়েছিলেন দেশটির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।

মির্জা আব্বাস প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘এর আগে বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ভারত গিয়েছিলেন, সেখানে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং তাকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। এবার আমার দেশের প্রধানমন্ত্রী গেলেন তাকে একজন প্রতিমন্ত্রী স্বাগত জানিয়েছেন, এটা লজ্জা। বাংলাদেশের জন্য লজ্জা।’

তবে মির্জা আব্বাসের দেয়া তথ্যটি ভুল। ২০০৬ সালে বেগম খালেদা জিয়া যখন ভারত সফরে যান, তখন তাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান সেই সময় ভারতের পররাষ্ট্র রাজ্যমন্ত্রী ই আহমেদ। পরে তাকে রাষ্ট্রপতি ভবনে দেয়া হয় সংবর্ধনা। সেখানেই তাকে স্বাগত জানান মনমোহন সিং।

বিষয়টি নিয়ে একটি ফ্যাক্ট চেক করেছে ভারতের সংবাদমাধ্যম বাংলা আজতাক

ভারতীয় প্রটোকল অনুযায়ী, অন্য কোনো দেশের প্রধানমন্ত্রী দেশটিতে সফরে গেলে তাকে বিমানবন্দরে একজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী বা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পর্যায়ের কেউ স্বাগত জানান। পরে রাষ্ট্রপতি ভবনে বড় আয়োজনের মধ্য দিয়ে তাকে বরণ করে নেয়া হয়।

২০১৭ সালে ভারত সফরে গেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান নরেন্দ্র মোদি। ছবি: টুইটার

তবে কখনও কখনও দেশটির প্রধানমন্ত্রীরা প্রটোকল ভেঙে সরাসরি বিমানবন্দরে গিয়ে অন্য দেশের প্রধানমন্ত্রীদের স্বাগত জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষেত্রেও ২০১৭ সালে এমনটি হয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রটোকল ভেঙে শেখ হাসিনাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান।

সদ্য ভারত সফরে গেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিমানবন্দরে দেশটির একজন প্রতিমন্ত্রী স্বাগত জানানোকে নিয়ে আবারও বিষয়টি সামনে আসে।

সেটি নিয়ে বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস বলেছেন, বিষয়টি লজ্জার।

সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে বিভিন্ন বিষয়ে চুক্তি হওয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। বিএনপি নেতা বলেন, সফর লোক দেখানো। প্রধানমন্ত্রী ভারতকে সব দিয়ে এসেছেন, কিছুই নিয়ে আসেননি।

তিনি বলেন, ‘এই সরকারের চামচারা বলে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর করে আসার পর বিএনপি বেজার হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী পকেট ভরে নিয়ে গেলেন, খালি পকেটে ফিরলেন, বেজার তো হওয়ারই কথা খুশি হব কেন?

ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাচ্ছেন ভারতের তখনকার প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। ছবি: সংগৃহীত

‘তিস্তা নিয়ে আলোচনা হয়নি। কুশিয়ারা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আসলে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য? মোমেন সাহেব তো আগেই গোপন কথা ফাঁস করে দিয়েছেন। ভারতের সহায়তায় আওয়ামী লীগ সরকারে থাকতে চায়। আমরা বলতে চাই, এ দেশের জনগণ ছাড়া কেউ ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে না, এ জন্য তারা ইভিএমের চিন্তা করছে।’

বুক পেতে দেব, গুলি খাব তবু রাজপথ ছাড়ব না

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করতে রাজপথ নিজেদের দখলে রাখার কথা বলেছেন বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস।

রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকায় সোমবার বিকেলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের রমনা-শাহবাগ বিএনপি আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

চাল, ডাল, জ্বালানি তেল, পরিবহন ভাড়াসহ সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং ভোলায় পুলিশের গুলিতে ছাত্রদল নেতা নূরে আলম, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিম ও নারায়ণগঞ্জের যুবদল নেতা শাওন নিহতের প্রতিবাদে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য বিএনপির মিছিল শুরু হয়েছে। এটা সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত শেষ হবে না। আগে আমরা পল্টনে কর্মসূচি পালন করতাম, পরে মুক্তাঙ্গনে আনা হলো, সেখানেও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আমরা তারপর প্রেস ক্লাবের সামনে করেছি, সেখানেও আজকে কর্মসূচি পালন করতে দেয়নি।

‘আমরা এখন অলিগলিতে মিছিল করব। সরকারের ঠেকানোর ক্ষমতা থাকবে না। কেউ গুলি করলে আমরা তাকে ছাড় দেব না, আমরা আত্মাহুতির জন্য প্রস্তুত। আমাদের আন্দোলনে গোলাগুলি হলে আমাদের আন্দোলনও ভিন্ন প্রক্রিয়ায় হবে, আন্দোলনের ভিন্ন রূপ হবে। অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা হবে।’

সরকার সাপের মতো ভয় পেয়ে ছোবল মারছে উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘সরকার মনে মনে প্রচণ্ড ভয় পেয়েছে, রাস্তাঘাটে পুলিশ। সাপ কখন ছোবল দেয়? যখন ভয় পায়। আওয়ামী লীগের অবস্থাও সাপের মতো হয়েছে। তারা ভয় পেয়ে ছোবল দিচ্ছে।’

বিএনপি নেতা লিটন মাহমুদের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যদের মধ্যে দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, উত্তরের আহ্বায়ক আমানুল্লাহ আমান, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফাত আলী অপু, গাজীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফজলুল হক মিলন প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

এ বিভাগের আরো খবর